ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্তে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মিসরের মাধ্যমে পাঠানো এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস, জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি বলেছেন, “প্রস্তাবে বলা হয়েছে— হামাস ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা অস্ত্র না ফেললে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব নয়। এতে আমাদের প্রতিনিধি দল বিস্মিত হয়েছে। এই শর্ত আমাদের জন্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”
তিনি আরও বলেন, “যেকোনো চুক্তির ভিত্তি হতে হবে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার। অস্ত্র সমর্পণ নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।”
অন্যদিকে, ইসরায়েল বলছে, হামাসকে পরাজিত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সংগঠনটির ‘নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দেওয়া ও অস্ত্রহীন করা’ এই যুদ্ধে ইসরায়েলের অন্যতম লক্ষ্য।
এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মধ্যেই ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার খান ইউনিস, শুজাইয়া ও তুফাহ এলাকায় চালানো বোমা হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হন।
এছাড়া পশ্চিম তীরেও চলমান অভিযানে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি, বোমা হামলা ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। তুলকারেম শহরের এক ক্যাফেতে বোমা ফেলার পাশাপাশি নুর শামস শরণার্থী শিবির থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বাসিন্দাদের।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীগোষ্ঠী একে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং দ্রুত আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
চলমান সংঘাত, অস্ত্রের শর্তে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এবং হামাসের কঠোর প্রতিক্রিয়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থা আরও ঘনীভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর শান্তিপ্রক্রিয়ার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।
এসএস/এসএন