পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররম জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত দু’মাসে ৯৭৯টি বাঙ্কার ধ্বংস করেছে সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনী। সেনাবাহিনীর সূত্রের দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশটি উপজাতি অধ্যুষিত। বিভিন্ন উপজাতি ও গোত্রের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতাও ঘটে নিয়মিতই। গোত্র ও উপজাতিগুলোর মধ্যে সংঘাতের সময় ধ্বংস হওয়া এই বাঙ্কারগুলো দূর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানও (টিটিপি) তাদের সাংগঠনিক ও অপারেশেনাল কাজে ব্যবহার করত এসব বাঙ্কার।
ধ্বংস হওয়া এসব বাঙ্কার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
উপজাতি ও গোত্রগুলোর মধ্যকার সংঘাত-সহিংসতা নিরসনে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি খাইবার পাখতুনখোয়ার উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে আসে পাকিস্তানের সরকার। সেই চুক্তির নাম কোহাট পিস এগ্রিমেন্ট।
পাকিস্তানের উপজাতি গোষ্ঠী ও গোত্রগুলোর ‘জিরগা’ নামের একটি স্থানীয় সরকার সংস্থাও রয়েছে। এই বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে রেষারেষি দমন এবং সম্প্রীতি ও গণতন্ত্রের চর্চাকে এগিয়ে নিতে এই ‘জিরগা’ গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু খাইবার পাখতুনখোয়ার অধিকাংশ জেলায় বহু বছর ধরে ‘জিরগা’ কার্যত নিষ্ক্রিয়।
আর এদিকে প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় বাড়ছে গোত্রগুলোর মধ্যে সংঘাত। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আন্তঃউপজাতি ও আন্তঃগোত্র সংঘাতে খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩০ জনেরও বেশি এবং আহত হয়েছেন আড়াই শতাধিক।
সংঘাত নিয়ন্ত্রনে গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করছে সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনী।
আরএম/এসএন