জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ ‘কাবিলার আম্মা’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া গুলশান আরা আহমেদ আর নেই। সোমবার (সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেত্রী। তাঁর মৃত্যুর খবরে গভীর শোক ছড়িয়ে পড়েছে শোবিজ অঙ্গনে।
গুলশান আরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রে। তবে বর্তমান প্রজন্ম তাঁকে বেশি চিনেছে কাজল আরেফিন অমি নির্মিত ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ নোয়াখালীর চেয়ারম্যান চরিত্রে।
২০০২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে তার পথচলা শুরু হয়। এরপর ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, ‘লাল শাড়ি’, ‘ডাক্তার বাড়ি’সহ একাধিক নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেন। তাঁকে প্রথম বড় পর্দায় দেখা যায় এনায়েত করিম পরিচালিত ‘কদম আলী মাস্তান’ সিনেমায়। জীবনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত গুলশান আরা অভিনয়কে ভালোবেসে গেছেন, এবং নিজের অভিনয়ের পরিচয় ছড়িয়ে দিয়েছেন নীরবে, নিভৃতে।
তাঁর মৃত্যুতে সহকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ফেসবুকে লিখেছেন,
“ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। গুলশান আরা আহমেদ আপা, একজন ভালো মানুষ, ভালো অভিনেত্রী। আজ সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”
সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খান লেখেন,
“আপা, কত স্মৃতি আপনার সঙ্গে। আপনি ভালো থাকুন ওপারে। দোয়া রইল।”
ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি লিখেছেন,
“তিনি কাবিলার আম্মা, নোয়াখালীর চেয়ারম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আমাদের প্রিয় মানুষ, আপনাকে আমরা মিস করবো আপা। আল্লাহ ওনাকে জান্নাত নসিব করুন।”
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা ডিপজল লেখেন,
“তিনি একজন গুণী অভিনেত্রী ও অসাধারণ মানুষ ছিলেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
এ প্রজন্মের অভিনেত্রী ইমু শিকদার বলেন,
“আপা ছিলেন খুব হাসিখুশি, খুবই ভালো মানুষ। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।”
অভিনেত্রী নাহিদা আশরাফ আন্না শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন,
“আপার সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। সত্যি খবরটা খুব কষ্টদায়ক। আল্লাহ ওনাকে জান্নাত দান করুন।”
এই গুণী অভিনেত্রীর প্রস্থানে বিনোদন অঙ্গন হারাল একজন অভিজ্ঞ, আন্তরিক এবং নির্ভরযোগ্য শিল্পীকে। তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এফপি/টিএ