'প্রতিনিধি বাছাই সঠিক না হলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে'

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, নির্বাচন হলো সেই পদ্ধতি যার মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দ মতো প্রতিনিধি বাছাই করতে পারে। প্রতিনিধি বাছাই যদি সঠিক না হয় তাহলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে এবং ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে।

গতকাল ফরিদপুরে লিডারশিপ ট্রেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের মানবসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে গতকাল দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ফরিদপুর অঞ্চলের ৮২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে এ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে একটি কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য প্রার্থীসহ সকলকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রার্থী হল পার্টির প্রাণ— মন্তব্য করে এই জামায়াত নেতা আরও বলেন, প্রার্থীর প্রাণচাঞ্চল্য এবং পরিচালনা কমিটির ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই কেবল বিজয়ী হওয়া সম্ভব। সকলে যথাযথ ভূমিকা পালন করলেই কেবল আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়া সম্ভব।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বিগত সময়ে আমরা কেয়ারটেকার সরকারের জন্য আন্দোলন করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন প্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়। এভাবেই এদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল রাতে ভোটের নির্বাচন। যা পৃথিবীর ইতিহাসে অভিনব। সর্বশেষ ২০২৪ এ নির্বাচন ছিল আমি তুমি আর ডামির ভাগাভাগির নির্বাচন। এজন্য আমরা আন্দোলন করেছি।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জনগণ উৎকণ্ঠিত ছিল ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে। এরপর ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিণতিতে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়। দেশের সব শ্রেণির মানুষ এই আন্দোলনে জীবন দিয়ে আহত হয়ে ফ্যাসিবাদকে বিদায় করে। বর্তমানে এ দেশের জনগণের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার ফ্যাসিবাদের বিচারসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের জনআকাঙ্ক্ষার সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সহমত পোষণ করে।

জামায়াতের মানব সম্পদ বিভাগ ফরিদপুর অঞ্চল আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অঞ্চল সহকারী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আমীর মো. বদর উদ্দিন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘তুই মুম্বাইয়ে থেকে যা’, এন্ড্রু কিশোরকে অনুরোধ করেছিলেন আর.ডি. বর্মণ Jul 06, 2025
img
ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা Jul 06, 2025
img
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর যোদ্ধার সংখ্যা ফের ৪০ হাজারে পৌঁছেছে Jul 06, 2025
img
৭৮ বলে ১৪৩ রান করে শান্তর রেকর্ড ভাঙলেন সূর্যবংশী Jul 06, 2025
মহাকাশে মিলল বিশাল ও পানিসমৃদ্ধ নতুন গ্রহ! Jul 06, 2025
img
‘রঘু ডাকাত’-এর শুটিং শেষ, আবার কি ছোট পর্দায় ফিরবেন ইধিকা? Jul 06, 2025
img
ফের ট্রলের শিকার আদিপুরুষ, রামায়ণ টিজারে বাজিমাত Jul 06, 2025
img
রামায়ণে রাবণ রূপে যশ, প্রথমে পছন্দ ছিলেন হৃতিক রোশন Jul 06, 2025
জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ঢাল হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ আলম Jul 06, 2025
img
এই অভিনেত্রীর প্রেমে পড়ে আর বিয়েই করেননি রতন টাটা Jul 06, 2025
img
বাংলাদেশের বিপক্ষে হারলেও হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড Jul 06, 2025
img
জুনিয়র এনটিআরের বিপরীতে তিনবার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন আলিয়া Jul 06, 2025
img
মুখ ঢেকে বাজারে গিয়ে বলি, ‘এটার দাম কত’: মৌসুমী হামিদ Jul 06, 2025
img
ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে ৮ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা Jul 06, 2025
img
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪৫৪ জন Jul 06, 2025
img
ছেলের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষমা চাইলেন বিজয় সেতুপাতি Jul 06, 2025
img
পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয় Jul 06, 2025
img
এই বিপ্লব সফল হয়েছে সকল মানুষের রক্ত-ঘামের বিনিময়ে : আসিফ মাহমুদ Jul 06, 2025
নতুন অঙ্গ গজানোর প্রযুক্তি আবিষ্কার চীনে Jul 06, 2025
ইলিয়াস আলী গুমে শেখ হাসিনার হাত: এম এ মালেক Jul 06, 2025