সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল অনলাইন টকশো "ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দিন" এ আলাপকালে বলেন, “নির্বাচন কবে হবে সেটা বলা কঠিন, বলা যায় না। কারণ এই সরকারের সাথে যারা আছেন, তারা একেকজন একেক কথা বলেন। অথবা সরকারের যারা সুবিধাভোগী আছেন, তারা নানাপন্থী। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়া সম্ভব।”
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এ যাবৎকালে ড. ইউনূসের সরকার সবচেয়ে ভাগ্যবান সরকার। এই সরকার দেশের মাঠে থাকা সকল রাজনৈতিক দলের নিঃশর্ত সমর্থন পেয়েছে। এর আগে এমন কোন সরকার এই ধরনের সমর্থন পায়নি—এমনকি বঙ্গবন্ধু সরকারেরও তা হয়নি। এমন একটা সমর্থন পাওয়ার কারণে যারা এই সরকারের সুবিধাভোগী, তারা নানা ধরনের কাজ করছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন।”
মাসুদ কামাল আরও বলেন, “কেউ বলছেন তিন বছর, কেউ বলছেন ২০২৯ সাল পর্যন্ত, কেউ বলছেন পাঁচ বছর। একজন দার্শনিক আছেন, তিনি বলছেন জাতীয় সরকার হবে—সেখানে ড. ইউনূস হবেন প্রধান উপদেষ্টা, আর উপ-প্রধান উপদেষ্টা হবেন তারেক রহমান। এ ধরনের নানা ফর্মুলেশন আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “সব রাজনৈতিক দল এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। সাপোর্ট না দিলে চাপ তৈরি হবে। এ চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষমতা ড. ইউনূস সরকারের নেই। আগামী সপ্তাহে যদি তারেক রহমান এসে বলেন যে আমি আগামী সপ্তাহে নির্বাচন চাই—আপনি নিশ্চিত থাকেন, নির্বাচন ডিসেম্বরেই হবে। কারণ ড. ইউনূস ওই রিস্কে যাবেন না। তার পক্ষে এই চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব না।”
তিনি বলেন, “এখন অনেক পলিটিকাল পার্টি অনেক রকম কাহিনি করতেছে। যার যার স্বার্থ আছে। কেউ কেউ ভাবতেছে, আমি আর কয়েকদিন সময় নিলে গুছিয়ে নিতে পারবো। আমার ধারণা এনসিপি আর সেটা ভাবে না। এনসিপি বুঝে গেছে, অনন্তকাল সময় দিলেও যত বেশি সময় পাবে, ততই তারা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হবে, হোমিওপ্যাথির ডোজের মত। এটাতে কোনো কাজ হবে বলে আমার মনে হয় না। এনসিপির আশা-আকাঙ্ক্ষা মোটামুটি শেষ।”
এমআর/টিএ