ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ার দুই ভিআইপি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে নিজস্ব প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হলেও, বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে স্থানীয় নেতারা এখনো ধরে নিচ্ছেন—এই দুই আসনে প্রার্থী হবেন জিয়া পরিবারের সদস্যরাই।
বগুড়া-৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন শহর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল। অন্যদিকে বগুড়া-৭ আসনে দলটির মজলিসে শূরা সদস্য গোলাম রব্বানীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এ ঘোষণা দেন।
তবে রাজনৈতিক বাস্তবতায় এখনো গুরুত্বপূর্ণ এ দুই আসনের নিয়ন্ত্রণ বিএনপির হাতেই। খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন দুটিতে প্রার্থী হলে অন্য কোনো দলের জন্য এখানে লড়াই বেশ কঠিন হয়ে যাবে—এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বগুড়া-৬ আসনে এর আগে বিএনপি ১০ বার বিজয়ী হলেও আওয়ামী লীগ মাত্র তিনবার, আর জামায়াত একবার নির্বাচিত হয়েছিল। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে একেএম মাহবুবুর রহমান, রেজাউল করিম বাদশা, আলী আজগর তালুকদার হেনা ও সাইফুল ইসলামের নাম। যদিও কেউই এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। মাহবুবুর রহমান বলেছেন, খালেদা জিয়া প্রার্থী না হলে তিনিও মনোনয়ন চাইবেন।
অন্যদিকে বগুড়া-৭ আসনটিও জিয়া পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রার্থী হতে পারেন খালেদা জিয়া, না হলে তারেক রহমান—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বিএনপির। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু এবং মোরশেদ মিল্টন। তবে তারা বলছেন, জিয়া পরিবার প্রার্থী না হলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী হবেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জামায়াতের প্রার্থী নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না। তাদের মতে, বিএনপির প্রার্থী ঠিক হলে জামায়াতসহ অন্য কারও এখানে তেমন প্রভাব থাকবে না। অন্যদিকে জামায়াত নেতাদের আশা, দলীয়ভাবে মাঠে থাকলে তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন।
দুই আসনেই নির্বাচনের সমীকরণ নির্ভর করছে মূলত বিএনপির মনোনয়নের ওপর। খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান প্রার্থী হলে এখানকার ভোটের চিত্র পুরোপুরি বদলে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
এসএস/এসএন