চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৯৮ দিনে ভারতীয়দের ৮৫ হাজার ভিসা দিয়েছে চীন। ভারতে অবস্থিত দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো এসব ভিসা ইস্যু করেছে। এটাকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চীনের বিরুদ্ধে ভয়ানক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই বাণিজ্যযুদ্ধে ভারতকে পাশে চাইছে চীন। দুই দেশের সম্পর্কে কীভাবে উন্নতি হচ্ছে, সেই কথা বলতে গিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে শি জিনপিং সরকার।
শুধু তা-ই নয়, আরও ভারতীয় যেন চীন ভ্রমণ করেন, তারও আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ফেইহং। তিনি বলেন, ভারতীয় পর্যটকদের জন্য চীন এখন আরও বেশি উন্মুক্ত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ। চীনের অভ্যন্তরে শিক্ষা, ব্যবসা, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে ভারতীয়দের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে বেইজিং আগ্রহী।
ভারত ও চীনের মধ্যে ভ্রমণ সহজতর করার জন্য বেইজিং এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে। কিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। অতীতে চীনে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে গেলে আগে থেকে অনলাইনে সময় নিতে হত। বর্তমানে তার দরকার হয় না।
সরাসরি ভিসা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করতে পারেন ভারতীয় নাগরিকেরা। এছাড়াও স্বল্প সময়ে চীনে ভ্রমণ করতে গেলে আবেদনকারীকে আর বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হয় না। দ্রুত ভিসা মঞ্জুর করার বিষয়টিতেও জোর দেয়া হয়েছে। কমানো হয়েছে ভিসা ফি, আর অনুমোদনের সময়সীমাও।
ভারত ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কহার বৃদ্ধির ঘোষণা দেন, যা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়। তার পরই ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
কিন্তু চীনকে কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। উল্টে চীনা পণ্যের ওপর দফায় দফায় শুল্কের হার বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে পাশে চাইছে বেইজিং। চীনের একাধিক কর্মকর্তা সম্প্রতি ভারতের উদ্দেশে ‘ঐক্যের বার্তা’ দিয়েছেন। তাদের মতে, ক্ষমতার রাজনীতি ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে চীন ও ভারতকে।
এসএন