গাজায় কোনও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না : ইসরায়েল

ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া গাজায় কাজ করা একটি দাতব্য সংস্থা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির ইতি টেনে গাজায় ফের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর আগেই, ২ মার্চ থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।

চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যে গাজায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সর্বশেষ বুধবারও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ২৪ লাখ মানুষের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ার কাজ অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের নীতি পরিষ্কার : কোনও মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করবে না এবং হামাসকে গাজার জনগণের কাছে সহায়তাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে বাধা দেওয়াই এই পদক্ষেপের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, বর্তমানে কেউ গাজায় কোনও মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না এবং এ জাতীয় সহায়তার কোনও প্রস্তুতিও নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-সহ তার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা বাকি ৫৮ জিম্মির মুক্তির একমাত্র উপায় হিসাবে বারবার সামরিক চাপ প্রয়োগের কথা বলছেন।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ও মানবিক সহায়তায় বাধাদান গাজাকে ফিলিস্তিনিদের এবং যারা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাদের জন্য কবরস্থানে পরিণত করেছে।

এমএসএফের সমন্বয়কারী আমান্ডে বাজেরোল বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের সহায়তায় যারা আসছেন, তাদের জন্য গণকবরে পরিণত হয়েছে গাজা।


এসএস/এসএন

Share this news on: