শেখ হাসিনার ফাঁসি না হলে দেশে শান্তি আসবে না: রেজা কিবরিয়া

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশগ্রহণ করে মন্তব্য করেন, "যখন মানুষ দেখবে যে তার বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে যে মহিলা, তার ফাঁসি হয়েছে, শেখ রেহানা সাগর-রুনি হত্যায় জড়িত ছিল, তার ফাঁসি হয়েছে, তখন মানুষের শান্তি হবে—তার আগে না।"

তিনি আরও বলেন, “এই যে এতোগুলো বাচ্চাকে গুলি করে মারলো, ওদের বিরুদ্ধে কেস করে ওদের বাংলাদেশে এনে বিচার করা দরকার। আমি মনে করি এই বাচ্চাদের বাবা-মায়েরা কেন শান্তি পাবে না? যতদিন শেখ হাসিনা ফাঁসির মঞ্চে না ঝুলবে, কোনো শান্তি আসবে না।”

সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটা করার জন্য সরকার কী খুব শক্তিশালী পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমি সেটা দেখিনি। এটা একটা সিরিয়াস জিনিস। আমাদের এই ইনসিডেন্টটাকে ক্লোজারে আনা দরকার। ক্লোজারে আসবে কিভাবে? যখন মানুষ দেখবে তার বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে যে মহিলা তার ফাঁসি হয়েছে।”

সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করে রেজা কিবরিয়া বলেন, “এই সরকারের কথাবার্তাও আমি ঠিক পছন্দ করছি না। তারা যে ধরনের নিরামিষ কথাবার্তা বলছে, আমি পছন্দ করি না। তারা বলছে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত। যে দল বাংলাদেশে দুইবার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, বহুদলীয় গণতন্ত্র—তাদেরকে কেন এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? নাৎসি পার্টিকে যেমন সুযোগ দেওয়া হয়নি, আওয়ামী লীগকেও দেওয়ার কোনো যুক্তি নাই।”

তিনি আরও বলেন, “এটা যেই বলুক না কেন, আমি শুনেছি বড় একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতা বলেছেন ওদেরকে সুযোগ দেওয়া উচিত। আমি বলবো—এদের বিচার হোক, কয়েকশ’ লোকের ফাঁসি হোক, তারপর আমরা আলাপ করতে পারি যে ওদের নিয়ে একটি নতুন আওয়ামী লীগ যদি করতে চায়—কারা থাকতে পারে, ক্লিন ইমেজের কেউ যদি বেঁচে থাকে তাদের নিয়ে দল করতে চাইলে করুক। কিন্তু তাদের বিচার হওয়ার আগে আমি এ ধরনের কথা শুনতে চাই না। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণও সেটা শুনতে চায় না।”

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যাক : ঐশী Sep 18, 2025
img
প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান Sep 18, 2025
img
দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন নাহিদ Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশে সবচাইতে আগে জরুরি জাতীয় নির্বাচন : জিল্লুর রহমান Sep 18, 2025
img
মেটা উন্মুক্ত করলো নতুন ডিসপ্লে স্মার্ট গ্লাস Sep 18, 2025
img
গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল: বার্নি স্যান্ডার্স Sep 18, 2025
img
ঢাকায় আজ বিক্ষোভ করবে জামায়াতসহ ৭ দল Sep 18, 2025
img
জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সম্মেলন ব্যর্থ, ৭ নেতাকে বহিষ্কার Sep 18, 2025
img
তোমার অভাব প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করি: অপু বিশ্বাস Sep 18, 2025
img
আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড Sep 18, 2025
img
সমুদ্রে পাওয়া গেল ৮ ধরনের ভারী খনিজ Sep 18, 2025
img
‘ডাইরেক্ট থ্রোতে’ মাথায় বল লেগে মাঠের বাইরে আম্পায়ার Sep 18, 2025
img

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা সভা

‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ Sep 18, 2025
img
ঢাবির পরিবহনে ডিজিটাল রূপান্তর, চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং অ্যাপ Sep 18, 2025
img
অস্কারের সমালোচনায় এমি পোলার Sep 18, 2025
img
আলভারেজ বিতর্কের পর ফুটবলে পেনাল্টির নিয়মে বড় পরিবর্তন Sep 18, 2025
img
৩ বছর পরে হাবিবের জন্য নতুন গান লিখলেন অলিক Sep 18, 2025
img
বায়ার্নকে জেতানো ম্যাচে রেকর্ড গড়লেন কেইন Sep 18, 2025
img
কানাডায় খালিস্তানপন্থিদের ভারতীয় দূতাবাস দখলের হুমকি Sep 18, 2025
img
কলকাতায় বাধ্যতামূলক করা হলো বাংলা সাইনবোর্ড Sep 18, 2025