গ্রীষ্ম শুরু হতে না হতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এমন আবহাওয়া আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময়ে হঠাৎ বৃষ্টি হয় বলে অনেকে বাসা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে বের হতে পারেন না। আবার অনেকে এ সময়ে আনন্দ নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেন।
এই আনন্দ অধিকাংশ সময়ই স্বাস্থ্যের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এতে দেখা দিতে পারে জ্বর জ্বর ভাব, গা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়াসহ নানা সমস্যা। এ ছাড়া অনেক সময় বৃষ্টির কারণে জমে থাকা নোংরা পানিতে পা দিলে পায়ের মধ্যে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
মাকাটি মেডিকেল সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বৃষ্টির পানিতে ভিজলেই শরীর খারাপ করতে পারে, বিষয়টা এমন নয়।
এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, ঠাণ্ডার কারণে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কারণ সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ‘রাইনোভাইরাস’ ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যে সহজেই বেঁচে থাকতে পারে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
বৃষ্টিতে ভেজার পর সুস্থ থাকতে যা করবেন
মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে না ভেজার চেষ্টা করুন। কারণ বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকা নানা দূষিত বস্তু বৃষ্টি ধুয়ে নিয়ে যায়।
এ কারণে তখন বৃষ্টিতে ভিজলে জীবাণু শরীরে এসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই বছরের প্রথম বৃষ্টি এড়িয়ে যাবেন।
বৃষ্টিতে ভেজার পর গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। তাহলে জীবাণু ও সংক্রমণ থেকে রেহাই পাবেন।
গোসলের পর ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চুলকানি হতে পারে। তাই বডি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
বৃষ্টিতে ভেজার পর চুল ভেজা থাকলে মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই দ্রুত ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকিয়ে নিন।
বৃষ্টিতে ভেজার পর দ্রুত কাপড় পরিবর্তন করুন। কারণ ভেজা কাপড় দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে ফ্লু সংক্রমণ হতে পারে। সেই সঙ্গে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকিও আছে।
জ্বর জ্বর ভাব হলে থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখতে হবে। তাপমাত্রা একশর বেশি হলে প্যারাসিটামল নেওয়া যেতে পারে।
সর্বোপরি নিজেকে উষ্ণ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধোয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে ভাইরাসের আক্রমণ অনেকখানি এড়ানো যায়।
এমআর/এসএন