ছয় বছরের ব্যবধানে আবারও ব্রিজ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এত বড় অর্জনের পরও নেই কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার—নীরব ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জোন-৪ বাছাই পর্বে ফাইনালে ওঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ২০২৫ সালের ব্রিজ বিশ্বকাপে জায়গা, যা অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের আগস্টে ডেনমার্কে।
বুদ্ধিভিত্তিক এই খেলাটি বাংলাদেশে খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য এনে দিচ্ছে দেশের প্রতিনিধি দল। ২০১৭ ও ২০১৯ সালের পর এবার তৃতীয়বারের মতো ব্রিজ বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্ব আসরে এশিয়ার দুটি অঞ্চলের পাঁচটি দল অংশ নেয়। মধ্যপ্রাচ্য জোন থেকে এবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত।
দুবাইয়ের বাছাই পর্বে সেমিফাইনালের চতুর্থ সেশন শেষে জর্ডান হাল ছেড়ে দিলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়। দলের অন্যতম খেলোয়াড় শাহ জিয়াউল হক জানান, ‘এই দলটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও অভিজ্ঞ। শুরু থেকেই আমরা ১-২ পজিশনে ছিলাম এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছি। প্রতিপক্ষ একপর্যায়ে খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।’
পেশায় ব্যাংকার জিয়াউল হক ছাড়াও দলে রয়েছেন রাজিব, সোহাগ ও সুমন—যাঁরা আগের বিশ্বকাপেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পেশাজীবী হলেও এই খেলাটির প্রতি তাদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠাই বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে।
তবে এই অর্জনের মধ্যে অস্বস্তিকর বাস্তবতা হলো—বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশন এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেয়নি, এমনকি তাদের ফেসবুক পেজেও নেই কোনো পোস্ট। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান বলেন, “আমরা আবার বিশ্বকাপে খেলব, এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের সংবাদ। আগামীকাল ফাইনাল শেষে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেব।”
ব্রিজ খেলাটি দেশের মূলধারার ক্রীড়াঙ্গনে জায়গা করে নিতে পারেনি অনেকটাই প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে। বারবার কমিটি পরিবর্তন হলেও কার্যক্রমের গতি তেমন বাড়েনি। অথচ এই খেলোয়াড়রাই নিজেদের চেষ্টায় বিশ্বমঞ্চে পৌঁছাচ্ছেন, দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন।
আরআর/এসএন