প্রথম ৪০ মিনিটে যাকে একরকম খুঁজেই পাওয়া গেল না, সেই আর্লিং হলান্ড প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেয়েই দলকে এগিয়ে নিলেন। পরে তিনি করলেন আরেক গোল। উজ্জ্বীবিত ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারিয়ে শীর্ষস্থানের সঙ্গে ব্যবধান দুই পয়েন্টেই রাখল ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। হলান্ডের জোড়া গোলের মাঝে একবার জালে বল পাঠান ফিল ফোডেন।
গত মে মাসে এই প্যালেসের বিপক্ষেই এফএ কাপের ফাইনালে হেরেছিল সিটি। সাড়ে ছয় মাস পর সেই দলের বিপক্ষে নেমে আবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গুয়ার্দিওলার দল। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় দ্বিতীয় সেরা দল হয়েই ছিল তারা। বিরতির পরও বেশি আক্রমণ করে প্যালেস; কিন্তু একবারও কার্যকর হতে পারেনি দলটি।
পুরো ম্যাচে ৪০ শতাংশেরও কম সময় পজেশন রেখে, গোলের জন্য ১৬ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে প্যালেস, যার সবগুলোই হয় ব্যর্থ। আর সিটির সাত শটের ছয়টিই থাকে লক্ষ্যে।
১৬ ম্যাচে ১১ জয় ও এক ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের বিপক্ষে আগের দিন ভাগ্যের জোরে জয় পাওয়ায় পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। শীর্ষস্থানের সঙ্গে ব্যবধান আগের অবস্থানে আনতে জয়ের বিকল্প ছিল না সিটির সামনে।
সেই লক্ষ্যে শুরুটা অবশ্য তেমন আশাব্যাঞ্জক ছিল না তাদের। পজেশন রাখায় দলটি এগিয়ে থাকলেও, তাদের রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়াচ্ছিল প্যালেস।
প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে ছিল সিটি। তাদের সেরা ফরোয়ার্ড হলান্ড ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবে, প্রতিপক্ষের টানা আক্রমণের মাঝে হঠাৎ পাওয়া সুযোগে তার নৈপুণ্যেই এগিয়ে যায় দলটি। ৪১তম মিনিটের পাল্টা আক্রমণে ডান দিক থেকে মাথেউস নুনেসের ক্রসে হেডে গোলটি করেন হলান্ড।
৫৬তম মিনিটে আরেকটি পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো সিটি। কিন্তু ডি-বক্সে ঢুকে ইয়োশকো ভার্দিওলের শট পা দিয়ে আটকে দেন গোলরক্ষক। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের ছোট্ট এক ভুলের সুযোগে দারুণ আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিটি। বল পেয়ে দুই জনের মধ্যে দিয়ে ক্ষিপ্রতায় ছুটে, ডি-বক্সের বাইরে ফোডেনকে খুঁজে নেন রায়ান শের্কি। আর বল নিয়ন্ত্রণেই নিয়েই, প্রায় ২০ হজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
লিগে এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ফোডেন। আর এই চার ম্যাচে তার গোল হলো ছয়টি। কিছুক্ষণ পর মুহূর্তের মধ্যে ভালো দুটি সুযোগ পায় প্যালেস, কিন্তু তাদের দুটি প্রচেষ্টাই রক্ষণে প্রতিহত হয়। খানিক পর এডি এনকেটিয়ার জোরাল শট ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুম্মা।
৮৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে বল পায়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে, সবাইকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন সাভিনিয়ো।গোলরক্ষককেও প্রায় কাটিয়ে ফেলেছিলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। একরকম বাধ্য হয়েই তাকে ফাউল করে বসেন ডিন হেন্ডারসন। পেনাল্টি পায় সিটি।
ফল নিয়ে বাকি যা একটু অনিশ্চয়তা ছিল, স্পট কিকে জালে বল পাঠিয়ে সেটাও দূর করেন হলান্ড। এবারের লিগে ১৬ ম্যাচে ১৭ গোল হলো নরওয়ের তারকার। ছয় গোল কম নিয়ে তালিকায় দুইয়ে আছেন ব্রেন্টফোর্ডের ইগর থিয়াগো।
আসরে চতুর্থ হারের পর, ১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে প্যালেস।
এমআর/টিকে