পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধে জড়িত হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত শেষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সম্প্রতি কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ এবং সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা এম সারোয়ার হোসেন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। এতে তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই গণমাধ্যমে এমন মন্তব্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। পুলিশ বাহিনীর প্রতি দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে এমন মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “একজন আইনজীবী ও প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার কাছ থেকে পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাকে যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হতাশাজনক।” এছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শককে নিয়ে করা মন্তব্যকেও ‘অসত্য’ ও ‘মনোবল ভাঙার অপচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পুলিশের সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
এসএস