সিলেটের বিশ্বনাথে মাদরাসা পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে (১৭)-কে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ক্বারী মো. সেলিম মিয়া (৪২) নামে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী একটি মাদরাসার ছাত্রী। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, থানায় মামলা দায়েরের পরপরই থানা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত মো. সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। তিনি ৩ সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে আসছে।
রমজান মাসে দারুল ক্বেরাত শিক্ষা কেন্দ্রে কোরআন শিক্ষা নিতে স্থানীয় মসজিদে ওই কিশোরী ভর্তি হয়। এতে দারুল ক্বেরাত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ক্বারী সেলিম মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়।
গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ওই কিশোরী বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে ওই শিক্ষক তাকে জোর করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান। পরে সিলেট শহরের একটি বাসায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
পরে ওই কিশোরী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। এরপর সেলিম ওই কিশোরীর চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে বিষয়টি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে শেষ করতে চান। কিন্তু চাচাত ভাই এ বিষয়টি স্থানীয় এক মুরব্বিকে অবহিত করেন। পরে ওই মুরব্বিসহ ভুক্তভোগী পরিবার থানায় পুলিশ ঘটনাটি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে আজ শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরআর/টিএ