ভারতীয় বাংলার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী পয়লা বৈশাখের দিন প্রেমিক সুমিত অরোরা সঙ্গে বাগদান সেরেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার জীবনের ‘মিস্টার রাইট’-এর সঙ্গে একগুচ্ছ ছবিও ভাগ করেছেন। মেয়ে নতুন জীবনে পা দিয়েছে বলে কথা। আনন্দে আত্মহারা মা শতরূপা সান্যাল। আদরের পলিনকে নিয়ে কী বললেন তিনি?
গলায় একরাশ আনন্দ শতরূপার। বললেন, ‘অত্যন্ত খুশির খবর। প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা নেওয়া। সব বাবা-মায়ের মতো আমি এমনটাই চাইতাম। সন্তান নিজের জীবনসঙ্গী বেঁচে নিক, সুখী হোক, পরিবার বড় হোক। সবটাই তো জীবনে প্রয়োজন। মা হিসেবে তো আমি সবসময়ই চাইছিলাম একটা সুন্দর কিছু হোক।’
ঋতাভরীর জীবনসঙ্গী সুমিতকে নিয়েও গর্বিত শতরূপা। গ্ল্যামার দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও মাটিতে পা রেখে চলা একজন মানুষ তিনি। শতরূপার কথায়, ‘সত্যি বলতে সুমিতকে আমি খুবই পছন্দ করি। লেখাপড়া জানা, একটা সহজ সরল মানুষ। নাগরিক জীবনের জটিলতা ওর ভিতরে খুব একটা নেই। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে থাকলেও মাটিতে পা রেখে চলে। আমার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। সবচেয়ে বড় কথা, ওর মধ্যে একটা অদ্ভুত গভীরতা আছে। আর ঋতাভরীর জন্য এমন দায়িত্বশীল পুরুষই দরকার।’
দুই মেয়ে ঋতাভরী ও চিত্রাঙ্গদা। তাদের বড় করার জন্য জীবনের সবটুকু দিয়েছেন শতরূপা। একইসঙ্গে বাবা-মা দু’জনের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শতরূপার ভাষ্য, ‘ঋতাভরী এই বয়সেই অনেক দায়িত্ব নিয়েছে। ও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে, একটা স্কুল চালায়। আসলে দেখতে বড় হলেও, ভিতরে ভিতরে ও কিন্তু একটা ছোট্ট বেবি। আদুরে মেয়ে আমার। আমি ওকে অনেক আগলে আগলেই রেখেছি সব সময়। তবে ও ভীষণ ম্যাচিওর।’
অন্যদিকে, বড় মেয়ে চিত্রাঙ্গদার জন্যও গর্বিত তিনি। শ্বশুর বাড়ির সকলেই তার বড় মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শতরূপা বলেন, ‘মা হিসেবে এর থেকে বড় গর্বের জায়গা আর কী হতে পারে? মানুষের ভালোবাসা পাওয়া মানে বড় প্রাপ্তি। এটা কিন্তু কেউ এমনি এমনি পায় না। ওর সবাইকে নিয়ে চলার মতো মানসিকতাও রয়েছে।’
আরএম/টিএ