আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কৌশল এখন স্পষ্ট, ডিসেম্বরই শেষ সময়। সেই অবস্থানেই এবার গুলশানে বসেছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের সঙ্গে চলছে নির্বাচন, আন্দোলন ও রাজপথের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে।
১৯ এপ্রিল বিকাল ৩ টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক। উপস্থিত হবেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। আলোচনার টেবিলে একটাই বিষয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে যুগপৎ কৌশল।
বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান এই আলোচনায় নেতৃত্ব দিবেন। একই দিন সন্ধ্যায় এলডিপির সঙ্গেও বসবেন তিনি। মূল লক্ষ্য, মিত্রদের ভাবনা শোনা এবং একত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কৌশল চূড়ান্ত করা।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি জানায়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় তারা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এসেছে বিপরীত বার্তা, নির্বাচন হবে জুনের মধ্যেই।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলছেন, “বিএনপি বলেছে ‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’, আমরাও সেটাই বলছি। জনগণের সামনে আমরা একসঙ্গে যেতে চাই।”
লিয়াঁজো কমিটির সদস্য শায়রুল কবির বলছেন, “বৈঠকে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায়, সেই দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। কোনো বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে যেন সরাসরি বিএনপির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হয়।”
এদিকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বৈঠকটি শুধু আলোচনার জায়গা নয়, এটি আগাম আন্দোলনের ব্লুপ্রিন্ট। আলোচনা হচ্ছে আসন সমন্বয়, মিত্রদের মূল্যায়ন এবং রাজপথে যুগপৎ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়েও।
এসএম/টিএ