নতুন করে ৬১ বছর বয়সে বিয়ে করে চমক দিলেন দিলীপ ঘোষ। এক সময় রাজনীতির মঞ্চ থেকে ‘রগড়ে দেব’ হুঁশিয়ারি দিয়ে শোরগোল ফেলা এই নেতা হঠাৎই প্রেমিকরূপে প্রকাশ পেলেন নিজের দলের নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে জীবনসঙ্গিনী করে। এই খবরে যেমন চমকে গেছেন অনেকেই, তেমনই টলিউডের তারকারাও শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি।
দিলীপ ঘোষের এই নতুন অধ্যায়ে উচ্ছ্বসিত অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপাঞ্জনা মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্ররা। অনন্যা বললেন, “রাজনীতির বাইরেও যে একজন মানবিক দিলীপ ঘোষ আছেন, সেটা আজ বোঝা গেল। যাঁর হাত ধরেছিলেন, তাকেই জীবনসঙ্গিনী করেছেন— এটা দারুণ।” তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত সুখের জায়গায় সব বিভেদ ছাপিয়ে শুধুই শুভকামনা দিলীপদার জন্য।”
রূপাঞ্জনা ও কাঞ্চনা বলছেন, ব্যক্তি হিসেবে দিলীপ ঘোষ অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী। জনসমক্ষে যতটা রুক্ষ ভাবমূর্তি, তার বিপরীত এক সংবেদনশীল মানুষ তিনি। কাঞ্চনার মতে, “শিল্পীদের ‘রগড়ে দেব’ বললেও, ভেতরে যিনি সহানুভূতিশীল, তিনিই তো আসল শিল্পী।”
এই বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে দিলীপ ঘোষ যেমন প্রশংসিত হচ্ছেন, তেমন কিছু কটাক্ষও শুনতে হচ্ছে, বিশেষ করে বয়স নিয়ে। পরিচালক-অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র তাতে থোড়াই কেয়ার করছেন। তাঁর মত, “৪০ পেরোলেই কি বিয়ে করা যাবে না? বয়স তো কেবল সংখ্যা। যখন ইচ্ছা হয়, তখনই শুরু হোক নতুন জীবন।”
অনেকে আবার বলছেন, একজন বিবাহবিচ্ছিন্ন, সন্তানের মাকে বিয়ে করার সাহস দেখিয়ে দিলীপ ঘোষ এক সাহসী নজির গড়েছেন। কেউ পরকীয়া না করে, একত্রবাস না করে, সমাজের চোখে বৈধ পথে সম্পর্কের স্বীকৃতি দিয়েছেন— এটাই বড় দৃষ্টান্ত।
শেষে অনন্যার কথায় স্পষ্ট, “আজ শুধু দিলীপদার জন্য শুভকামনা। আর হ্যাঁ, বরবেশে ধুতি-পাঞ্জাবিতে তাঁকে দেখতে চাই।”
আরআর/এসএন