জীতেন্দ্রর কথায় ভেঙে পড়েছিলেন রেখা

দক্ষিণী ছবির হাত ধরে কেরিয়ার শুরু করলেও হিন্দি চলচ্চিত্রজগতের ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় কম সময়ের মধ্যে নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন রেখা। ১৮০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। তবে অভিনয়জীবনের পাশাপাশি বলিপাড়ায় অধিকাংশ সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন।

বলিউডের নামকরা অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন রেখা। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখার জুটি ছিল দর্শকের সবচেয়ে প্রিয়। অন্য দিকে জীতেন্দ্রের সঙ্গে বড় পর্দায় প্রেম করেও কম প্রশংসা কুড়োননি রেখা।

বলিপাড়া সূত্রে খবর, জীতেন্দ্রের সঙ্গে মোট ৩৯টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন রেখা। সেই তালিকায় রয়েছে ‘মাং ভরো সজনা’, ‘এক হি ভুল’, ‘জুদাই’, এবং ‘আপনে আপনে’র মতো হিন্দি ছবি। কানাঘুষো শোনা যায়, বাস্তবেও নাকি অভিনেতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন রেখা।

১৯৭৪ সালে শোভা কপূরের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন জীতেন্দ্র। বলিপাড়ার জনশ্রুতি, কমবেশি সকল সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন জীতেন্দ্র।

বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় যে, ক্যামেরার সামনে প্রেম করতে করতে জীতেন্দ্রকে মনে ধরে গিয়েছিল রেখার। একাংশের দাবি, জীতেন্দ্র তা বুঝতে পেরে রেখার অনুভূতিকে সায়ও দিতে শুরু করেছিলেন।

বলিউডের জনশ্রুতি, রেখার সঙ্গে নাকি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জীতেন্দ্র। ক্ষণিকের ভাল লাগা নয়। রেখার জীবনে এই সম্পর্কের গুরুত্বও ছিল অনেক। কিন্তু অভিনেতার অনুভূতি ছিল অন্য রকম।

ইয়াসির উসমানের লেখা ‘রেখা— দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইয়ে জীতেন্দ্র এবং রেখার বহুলচর্চিত প্রেমকাহিনির উল্লেখ রয়েছে। সেই বইয়ে লেখা রয়েছে যে, জীতেন্দ্র নাকি রেখার মন ভেঙে দিয়েছিলেন।

ইয়াসিরের কথায়, রেখা এবং জীতেন্দ্র একটি ছবির শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। শুটিংয়ের সময় এক ‘জুনিয়র আর্টিস্ট’-এর সঙ্গে জীতেন্দ্র গল্প করছিলেন। কথাপ্রসঙ্গে রেখাকে নিয়েও আলোচনা শুরু করেছিলেন দু’জনে।

জীতেন্দ্রের সঙ্গে রেখার কী রকম সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়ে অভিনেতাকে প্রশ্ন করেছিলেন সেই জুনিয়র আর্টিস্ট। তাঁদের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিলেন রেখা। ঘটনাক্রমে সম্পূর্ণ বার্তালাপ রেখা শুনতে পেয়েছিলেন।

রেখার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করায় জীতেন্দ্র জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের সম্পর্ক তেমন গভীর নয়। বরং প্রেম-প্রেম ভাব নিয়ে রেখার সঙ্গে শুধুমাত্র সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এ কথা শুনে ধাক্কা লেগেছিল রেখার।

ইয়াসির তাঁর বইয়ে লিখেছেন, জীতেন্দ্রের কথা শুনে রেখা এতটাই আঘাত পেয়েছিলেন যে সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। একছুটে নিজের মেকআপ রুমে চলে গিয়েছিলেন তিনি।

জীতেন্দ্র যে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এমন চিন্তা পোষণ করেন তা ভেবে মেকআপ রুমে কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিলেন রেখা। নায়িকার মন ভেঙে টুকরো হয়ে গেলেও আর এক মুহূর্ত জীতেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাননি তিনি। নিজে থেকেই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রেখা।

১৯৯০ সালে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন রেখা। কিন্তু ছ’মাসও সংসার করতে পারেননি অভিনেত্রী। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে, মুকেশের সঙ্গে অধিকাংশ বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হত রেখার।

বলিপাড়া সূত্রে খবর, নিত্য অশান্তি সহ্য করতে না পেরে রেখা নাকি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে কথা জানতে পেরেই নাকি মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন মুকেশ। ১৯৯০ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি।

এসএন 

Share this news on: