‘দেশের সাম্প্রতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কিংবা বিভিন্ন সময়েই শিল্পীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, সেক্ষেত্রে আমাদের অর্থাৎ শিল্পী সংঘের প্রথম পদক্ষেপ হবে শিল্পীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।’— সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া অভিনয়শিল্পী সংঘ নির্বাচন ২০২৫-এ সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে এমন মন্তব্য করেন রাশেদ মামুন অপু।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নবগঠিত কমিটির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শিল্পীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সবসময়ই তাদের পাশে থাকি। আইন ও কল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে আগেও এই বিষয়ে আমাদের সেমিনার হয়েছে।
শিল্পীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরই প্রশাসনিক একটা সহযোগিতা পাওয়া যায়।’
রাশেদ মামুন অপু আরো বলেন, ‘আমাদের বর্তমান কমিটি গঠন করার পর সবার আগে গুরুত্ব দিব শিল্পীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে। এটা হবে আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি।’
নতুন কমিটি গঠন হলেও এখনো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।
আগামীকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) একটি সভা ডেকেছেন তারা, যেখানে নতুন কমিটি কবে শপথ গ্রহণ করবেন সে বিষয়ক আলোচনা হবে বলে জানান অপু।
সেইসঙ্গে কমিটি গঠন করার পর তাদের পরিকল্পনা প্রসঙ্গেও আলোকপাত করবেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক। সেই পদক্ষেপগুলো হলো-
শিল্পীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সার্বক্ষণিক কাজ করা।
এটা নতুন কমিটির প্রথম প্রায়োরিটি।
অভিনয়শিল্পী সংঘের নামে আফতাবনগরে যে জমিটা বরাদ্দ করা হয়েছিল, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে একটি পক্ষ সেই জায়গাটি দখল করে রেখেছে। সরকারের সহযোগিতায় আমরা প্রথমে সেই জায়গাটি দখলমুক্ত করতে চাই। দখলমুক্ত করার পরপরই সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করে দিব।
শিল্পী সংঘের কল্যাণ তহবিল যেটা পাশ হয়ে আছে সেটা দ্রুত চালু করতে হবে।
এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব এবং দাবি জানাব যেন, শিল্পীরা এই তহবিল থেকে চিকিৎসা ভাতা, পেনশন ভাতা পান।
এরপর আমাদের শিল্পীদের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি, পেশার স্বীকৃতি। আমাদের অনেক বরেণ্য শিল্পীরা সংস্কৃতিকে ভালোবেসে শুধু দিয়েই গেছেন এবং স্বীকৃতিহীন অবস্থাতেই চলে গেছেন। এখনো আমরা শিল্পীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নবিদ্ধ হই যে, অভিনয়ের বাইরে আমরা কী করি! এটাকে কেউ পেশা হিসেবে মনেই করেন না। শিল্পী হচ্ছে রাষ্ট্রের সম্পদ, রাষ্ট্র শিল্পীকে নার্সিং করে, সে জায়গা থেকে আমরা শিল্পীরা কেন অবহেলিত হবো? একজন শিল্পীর জন্য, তাদের পরিবারের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এমনকী দেশের জন্য এই পেশার স্বীকৃতিটা দেওয়া প্রয়োজন।
শিল্পী সংঘের একটি সিস্টার কনসার্ন হিসেবে একটি পারফর্মার ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে চাই, যেখান থেকে পারফর্মার বের হবে। আমরা পারফর্মার সংকটে ভুগছি। শিল্পীদের অভিনয় নিয়ে, দক্ষতা নিয়ে আমরা নানান প্রশ্ন তুলছি, অথচ আমরা তাদের জন্য কী করতে পেরেছি? আমাদের যেহেতু প্লাটফর্ম আছে, সেখান থেকে প্রতি বছর যদি ২/৩টি ব্যাচও বের হয় তাহলেও আমরা অন্তত ৫০ জন পারফর্মার পাব বলে আমি মনে করি।
আরএম/টিএ