বিশেষ পরিস্থিতিতে কর্মজীবী নারীদের জন্য প্রসূতিকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত শিথিল করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। সেই সঙ্গে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে আরও কিছু প্রস্তাব উঠে এসেছে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রধান উপদেষ্টার হাতে নারী অধিকার সংরক্ষণে ৪৩৩টি সুপারিশসহ প্রতিবেদন তুলে দেয় এই কমিশন।
বাংলাদেশ সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, কর্মজীবী নারী কেবল দুটি সন্তানের ক্ষেত্রে ছুটি পেয়ে থাকেন। তবে কমিশন বলছে—মৃত সন্তান প্রসব, সন্তানের মৃত্যু কিংবা দ্বিতীয় বিয়েতে সন্তান নেওয়ার মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রসূতিকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত শিথিল করা যেতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়—সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং পিতৃত্বকালীন ছুটি দুই সপ্তাহ করার সুপারিশও করা হয়েছে। দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রেও ছুটির বিধান রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন—প্রসূতিকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত শিথিল করার পেছনে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে। আর ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন এবং দুই সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
শ্রম সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়—তারা ছুটি ছয় মাস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে মালিকপক্ষ কেবল চার মাসের পূর্ণ বেতনসহ ছুটিতে রাজি। বাকি দুই মাস ছুটির খরচ যেন সরকারি তহবিল বা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে বহন করা হয়—এমন প্রস্তাবও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এসএম/টিএ