যারা দেশে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তারা কখনোই জনগণের বন্ধু হতে পারে না : মির্জা ফখরুল

“যারা এই সময়ে একজন আদর্শবাদী ছাত্রনেতাকে হত্যা করতে পারে, তারা নিঃসন্দেহে এই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যারা দেশে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তারা কখনোই জনগণের বন্ধু হতে পারে না।” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে প্রয়াত বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই ফখরুল গভীর শোক প্রকাশ করে জানান, কিছুক্ষণ আগেই তিনি জানতে পেরেছেন যে, বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের এক ত্যাগী কর্মী—প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম পারভেজ—নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।

তিনি বলেন,  “আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। আমাদের আরও সজাগ, সচেতন এবং সংগঠিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আজ যারা সংস্কারের কথা বলেন, তারা শ্রমজীবী মানুষের কথা বলেন না। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না, প্রয়োজনমতো পানি পায় না, সন্তানরা ভালো শিক্ষা পায় না। অথচ টেলিভিশনের টকশো থেকে নাটক—সর্বত্র এই সাধারণ মানুষেরা অনুপস্থিত।”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের অনেকেই ছিলেন শ্রমজীবী মানুষ, অথচ তাদের নাম কেউ স্মরণ করে না। বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ মকবুল ছিলেন একজন ফ্যাক্টরি শ্রমিক। এই তালিকা সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।”

শ্রমিকদলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, “শ্রমিকদল ও শ্রমিক নেতাদের উচিত এই শহীদদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা—তাদের রক্তের ঋণ আমরা যেন না ভুলে যাই।”

তিনি বলেন, “আমরা এখনো সেই কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক উত্তরণে পৌঁছাতে পারিনি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে পারিনি। তাই আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি।”

বক্তব্যের শেষভাগে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “এই সময় আমাদের ধৈর্য, সচেতনতা ও ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। দলকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে।”

এসএম/টিএ

Share this news on: