বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না। এ জন্য আমরা বলেছি ডিসেম্বরের একটা তারিখ ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।’
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের বেশি অপেক্ষা করার কারণ আমরা দেখি না। এ ব্যাপারে যদি কেউ ভিন্নমত পোষণ করেন তাহলে তাদের যুক্তি দিয়ে বলতে হবে, কেন এর বেশি সময় দরকার? সরকার বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুন। তার মানে কী? তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে।
আমরা বলেছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে—এটাকে ধরে একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।
তিনি বলেন, সরকার বলছে যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার মানে তারা তো বলেনি যে ডিসেম্বর নির্বাচন হবে না। কিন্তু আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে এ রকম একটা তারিখ ধরে রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক। পার্থক্য তো খুব বেশি না।
সরকার বলেছে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে, তার মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে। সরকারের কথা অনুযায়ী নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারিতেও হতে পারে, ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে। কাজেই আমাদের সঙ্গে সরকারের পার্থক্য তো বহু মাসের নয়। আমরা শুধু সরকারকে বলছি, এভাবে না বলে, ওভাবে বলেন।
প্রশাসনে সব বিএনপির লোকজন বসে আছে বলে এনসিপি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যিনি এ কথা বলেছেন তিনিও তো সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
তাহলে তারা কি সব জায়গায় বিএনপির লোক বসাইছেন নাকি? বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে উৎখাত করা হয়েছে। বিগত সরকারের সময় কোথাও বিএনপির লোক ছিল না। যারা (আ. লীগের সময়) বৈষম্যের শিকার হয়েছিল, অন্যায়ভাবে যাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, তাদের ৭০০ মতো অফিসারের মধ্যে ১১৪ জনকে সচিবসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একজনকেও এখনো প্রদায়ন করা হয়নি। তাহলে বিএনপির লোককে বসানো হলো কোথায়? যাদের বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের একজনকেও যদি পদায়ন করা হতো, তাহলে বলতে পারতেন বিএনপির লোক বসানো হয়েছে। তাহলে এই কথাটির যুক্তি কী? আপনারা তাদের জিজ্ঞাসা না করে আমাদের কেন, জিজ্ঞাসা করেন? আপনারা জানেন না এসব? তাহলে এ প্রশ্ন তাদের জিজ্ঞাসা না করে, স্যরি, আমাদের কেন জিজ্ঞাসা করে কষ্ট দেন?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান প্রমুখ।
এফপি/টিএ