কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘ভারত রাষ্ট্রের উপর আঘাত’ বলে চিহ্নিত করল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বুধবার বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উচিত সর্বদল বৈঠক ডেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা।’’
পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর ঘাতক বাহিনীর হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকার জঙ্গিহানায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে জম্মু ও কাশ্মীরে উড়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে খড়গে বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত কাল কাশ্মীরে পৌঁছোনোর পরে তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’’
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের সহযোগী দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। সঙ্কটের এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস রাজনৈতিক ফয়দার উদ্দেশ্যে কোনও বিতর্ক উস্কে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় বলেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন খড়গে। তিনি বলেন, ‘‘এখন রাজনৈতিক ঐক্যের সময়। গোটা জাতি যখন শোকস্তব্ধ, তখন কারও ব্যর্থতা চিহ্নিত করার চেষ্টা উচিত নয়।’’ ইউপিএ সরকারের জমানায় ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাস এবং দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের সময় ‘সুরক্ষা গাফিলতি’র অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিজেপি। পহেলগাঁওকাণ্ডে ব্যতিক্রমী নজির রাখলেন কংগ্রেস সভাপতি।