কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক নিরীহ হিন্দু পর্যটক। ধর্মের পরিচয় জেনে পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করার এ নির্মম ঘটনায় উত্তাল পুরো ভারত। শোক আর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বলিউড ও টলিউডের তারকারাও।
এই হামলাকে গত দুই দশকের অন্যতম বড় সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। অনেকেই এটিকে পুলওয়ামার পর উপত্যকায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ভারতীয় নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "এই ঘটনাকে শুধু নিরীহ নাগরিক হত্যা বললে ভুল হবে, এটা ছিল হিন্দু পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ।" নাট্যকার সৌরভ পালোধীও বলেন, "আমি ধর্মীয় নই, কিন্তু ধর্মের কারণে কেউ খুন হলে তা স্পষ্টভাবে বলতেই হবে। রাষ্ট্র যদি নিরীহ হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তবে সেটাও স্বীকার করতে হবে।"
অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী লিখেছেন, “ভূস্বর্গ ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।” অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা বলেন, “এতটা দমবন্ধ অবস্থা আগে কখনও লাগেনি। এটা মানবতার মৃত্যু।” গায়িকা ইমন চক্রবর্তী ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়।”
এই ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আরও অনেক তারকা। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এক বাক্যে লেখেন “হৃদয়বিদারক”, দেবচন্দ্রিমা বলেন, “মন ভেঙে গেছে।” অভিনেতা সৌরভ দাসের সোজাসাপ্টা মন্তব্য—“জঙ্গিদের খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তি দিন।”
ভারতজুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, শিল্পী–সবাই সরব। অনেকেই ভারত সরকারের কাছে জোরালো প্রতিক্রিয়া আশা করছেন। নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে এই হামলা, আর কাশ্মীরের পর্যটন খাতও পড়েছে শঙ্কার মুখে।
কাশ্মীরের মতো স্পর্শকাতর অঞ্চলে এমন হামলা শুধু দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়েও নতুন করে ভাবার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরএ/টিএ