কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কে বাতিল হচ্ছে একের পর এক পর্যটন বুকিং। মে-জুনে পর্যটনের মৌসুম শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার এই শিল্প।
জম্মু-কাশ্মীরকে কেউ বলেন ভূস্বর্গ, কেউ আবার উপমহাদেশের সুইজারল্যান্ড। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অতিমারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল এখানকার পর্যটনখাত। কিন্তু মঙ্গলবারের পহেলগাঁও হামলা ফের প্রশ্ন তুলেছে এখানকার নিরাপত্তা ও পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে।
শ্রীনগরের হস্তশিল্প ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ শেখ জানান, “পর্যটকদের ঘিরে আমাদের ব্যবসা। একের পর এক বুকিং বাতিল হচ্ছে, মে মাসটা ভরপুর থাকার কথা ছিল—সব শেষ হয়ে গেল।”
মুম্বাইয়ের এক পর্যটন সংস্থার কর্ণধার জিতুল মেহতা জানান, “এই মুহূর্তে কাশ্মীরগামী সব বুকিং স্থগিত। কেউ কেউ ১০–১৫ দিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন।”
কলকাতার এআরইএস ট্রাভেলের কর্ণধার অনিল পাঞ্জাবির আশঙ্কা, “৭০ শতাংশ বুকিং ইতিমধ্যেই বাতিল। বাকি ৩০ শতাংশও বাতিল হতে পারে। কাশ্মীর জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল, এই ধাক্কা সামলানো কঠিন।”
পর্যটন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের জীবিকা জড়িয়ে। আর্থিকভাবে এর বার্ষিক মূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ বলেন, “নতুন নতুন হোটেল তৈরি হচ্ছিল, বিদেশি বিনিয়োগ আসছিল। আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হচ্ছিলাম। এখন মনে হচ্ছে নজর লেগে গেছে।”
কাশ্মীর বাতিল হলেও অনেকে হিমাচল, দার্জিলিং, সিকিমের খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটররা। তবে বুকিং বাতিলে টাকার ফেরত নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। ট্যুর অপারেটর বিলোলাক্ষ দাস জানান, “অনেক ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা চলে গেছে হোটেল বা গাড়ির বুকিংয়ে। ফেরত পাওয়া নিয়ে জটিলতা হচ্ছে।”
এসএস