মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। তারা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা গাজায় পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশের অনুমতি দেবে না।
এদিকে শুক্রবার জতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য মজুদ ফুরিয়ে গেছে।এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়- এই সপ্তাহের শুরুতে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ।তার ফোনালাপে মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে কিনা।
জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গাজার প্রসঙ্গ এসেছিল এবং আমি বলেছিলাম , ‘‘আমাদের গাজার প্রতি ভালো আচরণ করতে হবে... ওই লোকেরা কষ্ট পাচ্ছে’’। ’
গাজায় সাহায্যের জন্য প্রবেশপথ খোলার বিষয়টি তিনি উত্থাপন করেছেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমরা আছি। আমরা এর যত্ন নেব। খাদ্য এবং ওষুধের খুব বড় প্রয়োজন, এবং আমরা বিষয়টি দেখছি।
নেতানিয়াহু কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘ভালো মনে হয়েছে’।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ৩৮ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২০৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৫ জন ফিলিস্তিনি।
এমআর/এসএন