ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি কাছে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও বেশি আলোচিত হচ্ছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা—জামাল মুসিয়ালার গুরুতর ইনজুরি। ম্যাচের প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন এই তরুণ জার্মান মিডফিল্ডার। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ম্যাচ শেষে বায়ার্ন ম্যানেজার ভিনসেন্ট কোম্পানি অসহায় ও ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জীবনে খুব কমবার এমন রেগে গেছি হাফ টাইমে। আমার খেলোয়াড়দের উপর নয়—কারণ আমি জানি জীবনে আরো গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু আছে। কিন্তু এই ছেলেদের জন্য, এটাই জীবন। জামালের মতো একজন এই খেলাটার জন্য বাঁচে। সে সদ্য চোট থেকে ফিরল, আর এখন আবার এটা ঘটল। আপনি নিজেকে অসহায় মনে করেন। আমার রক্ত এখনো টগবগ করছে।’
জামালের ইনজুরির মুহূর্তটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনেকেই দোনারুম্মার আচরণকে ‘বেপরোয়া’ ও ‘অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। তার আগ্রাসী ছুটে যাওয়াতেই সংঘর্ষ ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের অন্যতম মূল খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে পাঠায়।
এই হারে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বায়ার্ন। তবে শুধু প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নয়, আরো বড় ক্ষতি হলো মুসিয়ালার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এই ইনজুরি তাকে কতদিন মাঠের বাইরে রাখবে, তা এখনো জানা যায়নি।
আরআর/টিএ