শোবিজ তারকাদের নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের অন্ত নেই। তাদের সব কিছু নিয়েই ভক্তদের কৌতূহল। প্রিয় তারকা কী খাচ্ছেন, কী পরছেন, কাকে ফলো করছেন, কাকে মন দিচ্ছেন—সব কিছু। এসব কৌতূহলের মধ্যে প্রিয় তারকার ব্যক্তিজীবন নিয়েও জানতে চান তারা, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে প্রেম ও বিয়েতে।
সব ভালোর মধ্যেও কিছু খবর ভক্তদের মন ভেঙে দেয়ে। তারকাদের সংসার ভাঙ্গার খবর মেনে নিতে পারেন না ভক্তরা। ঢাকাই শোবিজের অনেক তারকাই দীর্ঘদিন সংসার করেও সেটি টিকিয়ে রাখতে পারেননি।
তারিন জাহান
চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছেলে নির্মাতা ও অভিনেতা সোহেল আরমানকে ভালোবেসে ২০০১ সালে বিয়ে করেছিলেন তারিন জাহান।
এক বছরেরও কম সময় টিকেছিল তাদের সংসার। আলাদা হয়ে যান তারা। বিচ্ছেদের এত বছর পরেও আর কারো সঙ্গে ঘর বাঁধেননি অভিনেত্রী।
মোজেজা আশরাফ মোনালিসা
ক্যারিয়ারে সাফল্যের চূড়ায় থাকাকালীন ২০১২ সালে নিউইয়র্কপ্রবাসী ফাইয়াজ শরীফকে বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী মোনালিসা। বিয়ের পর ২০১৩ সালে স্বামীর সঙ্গে নিউইয়র্ক চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা চ্যানেল টাইম টিভির প্রোগ্রাম প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু যে জন্য দেশ ছেড়ে, অভিনয় ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মোনালিসা, সেই সংসার তার স্থায়ী বা সুখের হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার এক বছরের মাথায়, ২০১৪ সালে ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় মোনালিসার। এরপর গত ১১ বছরে আর নতুন করে সংসার বাঁধেননি অভিনেত্রী। তবে ফের সংসার পাততে চান তিনি। তার জন্য খুঁজছেন মনের মতো পাত্র। পাত্র পেলেই নতুন জীবন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই অভিনেত্রী।
অপু বিশ্বাস
চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে অপু বিশ্বাসের। এরপর প্রেমে পড়েন এবং গোপনে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন তারা। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে জানিয়ে ২০১৮ সালে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভে এসে বিয়ে ও সন্তানের খবর জানান অপু, যা পছন্দ হয়নি শাকিব খানের। এর তিন মাসের মধ্যেই ডিভোর্স। বিচ্ছেদের পর নায়ক বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে অপু বিশ্বাসের প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন উঠে।যদিও সে বিষয়ে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আপাতত ছেলে জয়কে নিয়েই আছেন অপু। এখনও কাউকে মন দেননি, ঘরও বাঁধেননি।
শবনম বুবলী
অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শাকিব খানের জীবনে আসেন শবনম বুবলী। তার দাবি, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শাকিবকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ২০২০ সালের ২১ মার্চ তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম। ২০২২ সালে এক ফেসবুক পোস্টে নিজেদের সন্তানের কথা সামনে এনে শাকিব খানের সঙ্গে তার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন বুবলী। তাদের ছেলের নাম, শেহজাদ খান বীর। শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনিও আর নতুন করে কোনো সংসারে জড়াননি।
মাহিয়া মাহি
ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে, ২০১৬ সালে ভালোবেসে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। ৫ বছরের মাথায় ভেঙ্গে যায় সে সংসার। ২০২১ সালে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। সে বছরই রাজনৈতিক ব্যক্তি রকিব সরকারকে বিয়ে করেন। টেকেনি সে সংসারও। তাদের ঘরে রয়েছে এক ছেলে সন্তান, নাম মোসাইব আরাশ সামসুদ্দিন ফারিশ সরকার। গেল বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক ভিডিও বার্তায় বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আনেন মাহি। রকিব সরকারের সঙ্গে তিন বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তিনি। এরপর নতুন করে আর ঘর বাঁধেননি এই নায়িকা।
পরীমনি
সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে ২০১৬ সালে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হন পরীমনি। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে বিয়ে করেন তারা। তবে তাদের সম্পর্ক বেশি দিন টিকেনি এবং পরবর্তীতে বিচ্ছেদ হয়। এরপর ৯ মার্চ ২০২০ সালে তিনি সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। ঐ বছরেই তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরের বছরের অক্টোবরে ভালোবেসে অভিনেতা শরিফুল রাজকে বিয়ে করেন পরীমনি। কয়েকমাস পর ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি নিজের গর্ভাবস্থার খবর গণমাধ্যমকে জানান পরীমনি। গর্ভাবস্থার খবর জানানোর আগ পর্যন্ত শরিফুল রাজের সাথে তার বিয়ের বিষয়টি তারা গোপন রাখেন। পরে ২২ জানুয়ারি তারা পুনরায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। ২০২২ সালের ১০ আগষ্ট প্রথমবারের মতো তিনি পুত্র সন্তানের মা হন, যার নাম শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। তাদের সংসারও টেকেনি বেশিদিন। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স দেন পরী। এরপর পরীও আর কারো সঙ্গে ঘর বাঁধেননি।
তমা মির্জা
২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম চিশতির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তমা মির্জা। সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিচ্ছেদের পথে হাটেন তারা। ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় তমা মির্জার। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি।
আরআর/এসএন