জাতীয় গ্রিড বিপর্যয় হওয়ার কারণে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) আওতাধীন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎহীন রয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ জেলার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।
ওজোপাডিকো সূত্রে জানা যায়, জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ১৫ জেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা দক্ষিণাঞ্চল। অনেক স্থানে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। আবার কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ এসেছে।
খুলনার নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ জানান, নগরীর ময়লাপোতার মোড়ে বিকেল থেকে আছি। সাড়ে ৫টার পর এখানে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে একবার বিদ্যুৎ আসে। পরে আবার ৮টা ১৬ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না।
খুলনার রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিকেলে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শাহাজাৎপুরের শুভ বিশ্বাস জানান, বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নেই। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওজোপাডিকোর সদর দপ্তরের নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন) মো. আব্দুল মজিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকার আমিন বাজার থেকে গোপালগঞ্জের মধ্যবর্তী কোনো একটি স্থানে ৪০০ কেভি লাইনের ত্রুটি দেখা দেয়। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরসহ ১৫ জেলায় বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে খুলনা, বরিশালের অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। তবে কিছু কিছু স্থানে এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এফপি/এসএন