কপালে বড় সিঁদুরের টিপ। ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক। পরনে এক রঙের সোনালি শাড়ি। চোখ বন্ধ করে এক মনে সেতার বাজাচ্ছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। মেয়ের জন্মের প্রায় চার মাস পরে আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন কাঞ্চন-পত্নী। সৌজন্যে নতুন ধারাবাহিক ‘বুলেট সরোজিনী’। সেপ্টেম্বরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শ্রীময়ী। তার পর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও কাছ ছাড়া করেননি মেয়েকে। কিন্তু এখন শুটিংয়ের চাপে মেয়ের সঙ্গে প্রায় দেখাই হচ্ছে না শ্রীময়ীর। অন্য দিকে বাবা কাঞ্চনও নিজের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। রয়েছে রাজনৈতিক দায়িত্বও। তা হলে পাঁচ মাসের খুদেকে সামাল দিচ্ছে কে? মা-বাবাকে ছেড়ে সে আছেই বা কী করে?
আনন্দবাজার ডট কমকে কাঞ্চন বলেন, “সে নিজের মা-বাবাকে চেনে না। ওর দাদু-দিদানই সব। তাঁরাই তো সামলাচ্ছেন আমাদের মেয়েকে। আমরা দু’জনেই সারা দিন বাড়ির বাইরে। তাই আমাদের তো কৃষভি একেবারেই কাছে পায় না।” শ্রীময়ীর মা-বাবাই কৃষভির সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন একা হাতে। একরত্তি তাই দিদা, দাদুকেই বেশি চেনে।
কাঞ্চন বলেন, “রাতে ঘুমোনোর সময়ও কৃষভি দিদাকেই খোঁজে। এক পাশে মা আর অন্য পাশে দিদান। এই দু’জনকে পেলেই তিনি খুশি।” তাই শ্বশুর-শাশুড়ির উপর দায়িত্ব দিয়েই কাঞ্চন নিশ্চিন্তে তাঁর কাজ চালাচ্ছেন।
ছোট্ট কৃষভিকে এখনও প্রকাশ্যে আনেননি তাঁরা। অভিনেতা-বিধায়কের বাড়ির নিয়ম ‘মুখে প্রসাদ’ (অন্নপ্রাশন) না হওয়া পর্যন্ত একরত্তির ছবি কোথাও কোনও ভাবে প্রকাশ করা যাবে না। বাড়ির সেই নিয়মই অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী দু’জনেই। তবে মেয়ের সঙ্গে কাটানো এই মুহূর্তগুলো যে তাঁরা দারুন উপভোগ করছেন তা অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমের পাতায় স্পষ্ট।
আরআর/এসএন