জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান বা পঙ্গু হাসপাতালে ২৪৪ চিকিৎসকের পদ ফাঁকা পড়ে আছে। ৬৩৪টি অনুমোদিত চিকিৎসক পদের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ৩৯০ জন চিকিৎসক কর্মরত। অন্যান্য জনবলেও বড় ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে। সীমিত জনবল ও নানা অনিয়মে মিলছে না চিকিৎসা সেবা।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সহকারী পরিচালক রাশেদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এমন তথ্য-উপাত্ত মিলেছে।
দুদক জানায়, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা প্রদানে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগে আজ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে টিম ছদ্মবেশে উপস্থিত থেকে সাধারণ রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, হাসপাতালের মোট আটটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে তিনটি সচল রয়েছে এবং পাঁচটি মেশিন দীর্ঘদিন যাবত অচল। এ ছাড়া হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান মেশিনও অকেজো অবস্থায় রয়েছে। কয়েকমাস ধরে এক্সরে ফিল্মের সংকটও বিদ্যমান রয়েছে।
টিম জানতে পারে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করলেও এখন পর্যন্ত সমস্যার কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের ৬৩৪টি অনুমোদিত চিকিৎসক পদের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ৩৯০ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন, ফলে চিকিৎসাসেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনা শেষে টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
দুদকে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঙ্গু হাসপাতালে ৫০০ টাকার ব্লাড ৫/৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা, স্ট্রেচারে আনা-নেওয়া ও বিভিন্ন সেবাকে কেন্দ্র করে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। তাছাড়া এক হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির পরিমাণ ধারণের চেয়েও বেশি। এ সুযোগে বিভিন্ন পরীক্ষা, স্ট্রেচারে আনা-নেওয়া ও বিভিন্ন সেবাকে কেন্দ্র করে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু কর্মচারী।
এফপি/টিএ