জিপিএ ৫ বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৪

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ জিপিএ-৫ আর থাকছে না। সর্বোচ্চ গ্রেড সিজিপিএ-৪ ধরে এখন থেকে পরীক্ষার ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে এক মাস সময় লাগতে পারে মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বৈঠকে তিনি সিজিপিএ পুনর্বিন্যাস করে একটি খসড়া উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

উচ্চ শিক্ষাস্তরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় বা ব্যাপ্তিও কমিয়ে আনা হবে। এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে পরীক্ষা নেয়া থেকে সরে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আন্তঃবোর্ডের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে সিজিপিএ ৫-এর পরিবর্তে ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশে সবাই একমত হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বৈঠক করব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ফল পর্যালোচনা করব। এরপর আগামী এক মাসের মধ্যে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে কিভাবে ফল দেয়া যায় সে ব্যাপারে একটি খসড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। যদি সম্ভব হয় তাহলে চলতি বছরের জেএসসি থেকেই আমরা সিজিপিএ ৪ -এর মধ্যে ফল প্রকাশ করতে চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন থেকে পরীক্ষার প্রায় ছয় মাস আগেই রুটিন প্রকাশ করা হবে। এক পরীক্ষার পর অন্য পরীক্ষার গ্যাপের (বন্ধ/ছুটি) কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। জেএসসি, জেডিসি আট থেকে ১০ দিনের মধ্যে এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ২০ থেকে ২২ দিনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করব।’

এর আগে বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বোর্ডগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের পাবলিক পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫ -এর মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ (সিজিপিএ) পদ্ধতি রয়েছে। সর্বোচ্চ গ্রেড সিজিপিএ ৪ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল প্রকাশ করা হয়। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশে সব ধরনের ফলই প্রকাশ করা হয় সিজিপিএ ৪ -এর মধ্যে। এই কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল সমন্বয় করতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমস্যায় পড়তে হয়।

আর বিদেশে পড়ালেখা ও চাকরির ক্ষেত্রে পড়তে হয় আরো বড় সমস্যায়। কারণ প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যাচ্ছে। তাদের এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেটের সমতা করে তারপর বিদেশে যেতে হয়। এতে অনেক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আর আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ফলাফলের সমতা থাকছে না।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিথিলা হাতে উঠলো ভারতের ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার May 04, 2024
img
আট দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম May 04, 2024
img
মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী May 04, 2024
img
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন May 04, 2024
img
সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার May 04, 2024
img
আইপিএলে প্লে অফে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে যারা May 04, 2024
img
শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে যাত্রীরা, ৬ ট্রেনের যাত্রা বাতিল May 04, 2024
img
সরকার গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করছে: প্রতিমন্ত্রী May 04, 2024
img
শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন বাড়াতে কাজ করছে সরকার : শিক্ষামন্ত্রী May 04, 2024
img
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস May 04, 2024