ক্রিকেটে, বিশেষ করে আইপিএলে, প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (আরসিবি) সেই চ্যালেঞ্জকে যেন বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। কখনো আইপিএল শিরোপা না পাওয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজি বর্তমানে প্রতিপক্ষের মাঠে এক অজেয় দল হিসেবে পরিণত হয়েছে।
গতকাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তারা আবারও জয়লাভ করেছে। দিল্লির বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামা দলটি প্রথমে বিপদে পড়েছিল, যখন তারা ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায়। তবে এরপর বিরাট কোহলি এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া তাদের দলের পুনরুদ্ধার করেন। এই দু'জনের ১১৯ রানের পার্টনারশিপটি আইপিএলে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটের জন্য সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড গড়ে। এতে পেছনে পড়েছে ২০২০ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারিন ও নীতিশ রানার ১১৫ রানের জুটি।
কোহলি ৫১ রানে আউট হলেও, ক্রুনাল পান্ডিয়া শেষ পর্যন্ত টিম ডেভিডের সঙ্গে মিলে ম্যাচটি শেষ করেন। শেষমেশ ৬ উইকেটের এই জয়টি আরসিবির জন্য আইপিএল লিগ পর্বে টানা ৯ম অ্যাওয়ে জয়। প্রতিপক্ষের মাঠে আইপিএল লিগ পর্বে এতগুলো জয় আর কোনো দলই পায়নি।
আইপিএলে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা জয় (লিগ পর্ব):
১. ৯ - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (২০২৪-বর্তমান)
২. ৭ - কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০১২)
৩. ৬ - রাজস্থান রয়্যালস (২০২৩-২০২৪)
৪. ৫ - কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০২৩-২০২৪)
৫. ৫ - গুজরাট টাইটান্স (২০২৩)
৬. ৫ - পাঞ্জাব কিংস (২০১২)
আইপিএলে, ব্যাঙ্গালুরু এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষের মাঠে টানা ৯টি জয় নিয়ে ফিরেছে। তবে এক আসরে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা জয় এখন পর্যন্ত তাদের দখলে আসেনি। চলতি ২০২৪ আসরে ব্যাঙ্গালুরু ছয়টি জয় নিয়ে ফিরেছে, তবে তাদের সামনে এখন ২০১২ সালের কলকাতা নাইট রাইডার্সের টানা ৭ জয় ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
এছাড়া, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও ২০১২ সালে প্রতিপক্ষের মাঠে ৭টি জয় পায়, যদিও তাদের মধ্যে কিছু হারও ছিল।
প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যাঙ্গালুরুর এই ধারাবাহিক জয় তাদের শক্তির প্রমাণ এবং তাদের দলীয় মনোবলের উজ্জ্বল উদাহরণ।
এসএস/এসএন