ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার—এমনটাই জানিয়েছেন অস্কারজয়ী স্প্যানিশ অভিনেত্রী পেনেলোপে ক্রুজ। তিনি বলেন, “আমি সবসময় এমন একটি কাজ করতে চেয়েছিলাম, যা আমাকে প্রেরণা জোগাবে, সৃজনশীলতার জায়গায় রাখবে। তাই অভিনয়কেই বেছে নিই। তবে মাঝে মাঝে সংশয়েও পড়তাম, এই পেশা আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”
মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেলিভিশনে ক্যারিয়ার শুরু করেন পেনেলোপে। ১৯৯২ সালে ‘হ্যাম হ্যাম’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘ওপেন ইয়োর আইজ’, ‘দ্য গার্ল অব ইওর ড্রিম’সহ বহু জনপ্রিয় স্প্যানিশ ও আন্তর্জাতিক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের অবস্থান শক্ত করেন তিনি।
বিশ্বখ্যাত স্প্যানিশ নির্মাতা পেদ্রো আলমোদোভার সঙ্গে তার পেশাগত ও ব্যক্তিগত বন্ধন বহু সিনেমাপ্রেমীর কাছে অনন্য উদাহরণ। ১৯৯৭ সালে ‘লাইভ ফ্লেশ’ থেকে শুরু করে ‘অল অ্যাবাউট মাই মাদার’, ‘বলবার’ ও সর্বশেষ ‘প্যারালাল মাদারস’—এই জুটির প্রতিটি কাজই সমালোচক ও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। আলমোদোভারের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে পেনেলোপে বলেন, “ব্যক্তিত্বে আমরা আলাদা, কিন্তু একসঙ্গে কাজ করলে একটা বিশেষ কিছু তৈরি হয়। আমি তাকে ভালোবাসি, তার ওপর শতভাগ ভরসা করি। তবে ভয়ও কাজ করে—এই ভেবে, আমি তার বিশ্বাসের মান রাখতে পারব তো?”
২০০৯ সালে উডি অ্যালেন পরিচালিত ‘ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জেতেন পেনেলোপে ক্রুজ। তিনিই প্রথম স্প্যানিশ অভিনেত্রী যিনি এই বিভাগে অস্কার অর্জন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা হাভিয়ের বারদেমের সঙ্গে বিবাহিত পেনেলোপে ক্রুজের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। নিজের সন্তানদের নিয়ে তিনি বরাবরই রক্ষণশীল। একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো দূরের কথা, আমি সন্তানদের ফোন ব্যবহার করতেও দিই না। ওদের জন্য আমি একটু কড়াই।”
অভিনয়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি আর ব্যক্তিগত জীবনে রক্ষণশীল অবস্থান—এই তিনে মিলেই পেনেলোপে ক্রুজ এক অনন্য নাম, যিনি পর্দার বাইরেও দর্শকদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
এসএম