গরমের মধ্যে চুলের যত্ন নেওয়া একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। রোদে বাইরে গেলে মাথায় ঘাম জমে, চুল হয়ে পড়ে চিটচিটে ও প্রাণহীন। নিয়মিত শ্যাম্পু না করার কারণে চুল রুক্ষ এবং দুর্বল হয়ে যায়। এর পাশাপাশি মাথার ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে এই সময় চুলের সঠিক যত্ন নিতে প্রয়োজন উপযুক্ত শ্যাম্পু এবং কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
১। সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু বেছে নিন
শ্যাম্পু কেনার সময় খেয়াল করুন, তাতে সোডিয়াম লরেথ সালফেট আছে কি না।
সালফেট চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুষে নেয়, ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। তাই সালফেটমুক্ত শ্যাম্পুই বেছে নেওয়া শ্রেয়।
২। ময়েশ্চারাইজারযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
গরমকালে রাসায়নিকযুক্ত শ্যাম্পু এড়িয়ে চলা উচিত।
ভেষজ উপাদানে তৈরি শ্যাম্পু—যেমন অ্যালোভেরা, গ্লিসারিন, নারকেলের পানিযুক্ত শ্যাম্পু চুলে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা জোগায়।
৩. প্রাকৃতিক তেল ও বাটারসমৃদ্ধ শ্যাম্পু
অর্গান তেল, নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো তেল বা রোজমেরি অয়েলসমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলে পুষ্টি জোগায়। সেই সঙ্গে শিয়া বাটার বা কোকোয়া বাটারযুক্ত শ্যাম্পু চুল রাখে নরম ও মসৃণ।
৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন
চুলের জন্য কেরোটিন অত্যন্ত জরুরি। দূষণ ও রাসায়নিক ব্যবহারে এই প্রোটিন নষ্ট হয়।
হাইড্রোলাইজড সিল্ক বা কেরোটিনযুক্ত শ্যাম্পু চুলের প্রাকৃতিক গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫. পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে এমন শ্যাম্পু
মাথার ত্বকের আদর্শ পিএইচ ৪.৫-৫.৫। তাই যেসব শ্যাম্পুতে অল্প পরিমাণ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার বা সাইট্রিক এসিড থাকে, তা ব্যবহার করা ভালো। এগুলো মাথার ত্বকে র্যাশ বা ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
যদি শ্যাম্পুর পরেও চুল রুক্ষ লাগে, তবে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক। যা লাগবে :
২ চা চামচ অলিভ অয়েল
১টি ডিম
২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
সব উপাদান মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এটি চুলের রুক্ষতা কমাবে।
আরএ/এসএন