মঙ্গলবার ৩৭তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন আন্দ্রে রাসেল। জন্মদিনে আইপিএলের দিল্লি বনাম কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচও ছিল। ওই দিন সতীর্থদের কাছে জয়কে উপহার হিসেবে চেয়েছিলেন তিনি।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৪ রানের জয়ে খুশি রাসেল সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জন্মদিনে ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার।
মঙ্গলবার ছিল রাসেলের জন্মদিন। ৩৭ বছর পূর্ণ করলেন জামাইকার ক্রিকেটার। এ দিনই ছিল আইপিএলের দিল্লি-কলকাতা লড়াই। ম্যাচের পর রাসেল বললেন, ‘‘দলের বৈঠকে সবাইকে বলেছিলাম, আমাকে জন্মদিনে একটা জয় উপহার দিতে। এই টি-টোয়েন্টি লিগটা অসাধারণ। সূচি অনুযায়ী ম্যাচটা আমার জন্মদিনের দিন পড়েছে। উপহার পাওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’’
দলের জয় নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল খুব সাধারণ। বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে চেয়েছিলাম আমরা। সেটা করতে পেরেছি আমরা। দিনটা সব মিলিয়ে খুশির হল।’’
বল হাতে বেশ ভাল পারফর্ম করেছেন দিল্লির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাসেল বলেছেন, ‘‘অধিনায়ককে বলেছিলাম, ছ’টা ইয়র্কার করতে চাই। ছ’টা ইয়র্কার করতে পারিনি ঠিকই। তবে ছ’টা ইয়র্কার করার লক্ষ্য এবং মানসিকতা নিয়েই বল করেছি। তিনটে বা চারটে পেরেছি। সেটাই কাজে এসেছে।’’ কেন হারতে হচ্ছিল গত বারের চ্যাম্পিয়নদের? রাসেল বলেছেন, ‘‘আমাদের ব্যাটিং ভাল হচ্ছিল না। ছ’সাত জন ব্যাটারের মধ্যে অন্তত তিন জনকে ভাল রান করতে হয়। আমাদের সেটা হচ্ছিল না। তবে সবাই চেষ্টা করছিল। আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল না দলে। দিল্লির বিরুদ্ধে সবাই ভাল শট নিতে পেরেছে। ফলাফলের কথা না ভেবে নিজেদের প্রয়োগ করতে চেয়েছিলাম। এটা তারই ফল।’’
রাসেল কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থ সুনীল নারাইনকে। তিনি বলেছেন, ‘‘১৪তম ওভারে নারাইন আমাদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। ওটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। দু’টো বড় উইকেট তুলে নিল নারাইন। তার পর থেকেই আমাদের মনে হয়েছে, ম্যাচটা জিততে পারি। নারাইন ভাল বল করল পরেও। হ্যাঁ, বরুণ চক্রবর্তীর কথাও বলব। দুর্দান্ত বল করে উইকেট নিল। একই ওভারে দুটো উইকেট নিয়ে দিল্লিকে কোণঠাসা করে দিল বরুণ। আমাদের দলটা খারাপ নয়। ২০০ রান হাতে থাকলে, প্রতিপক্ষকে তার মধ্যে আটকে রাখার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের।’’
ফিল্ডার নারাইনের প্রশংসা করতেও ভোলেননি রাসেল। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘নারাইন ফিল্ডিং করার সময় যথেষ্ট সক্রিয় থাকে। অনেকে ওকে ভুল বোঝে। ভাবে গা লাগিয়ে খেলে না। আসলে তা নয়। একটু চাপচাপ স্বভাবের। তবে সব সময় খেলার মধ্যে থাকে। নারাইন খুব ভাল নেতাও। আগের থেকে অনেক বেশি কথা বলে। গত পাঁচ বছরে পরিবর্তন হয়েছে অনেক। যে কোনও মানুষ নিজেকে যত বেশি প্রকাশ করতে পারে, সে তত বেশি উপভোগ করতে পারে। নারাইনও এখন দারুণ উপভোগ করছে।’’ কথার শেষে সতীর্থদের আবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন, জন্মদিনের চেয়ে নেওয়া উপহারটা পাওয়ার জন্য।
আরএ/টিএ