চট্টগ্রামে তিন দিনের মধ্যেই ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচজয়ী নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ—ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ১-১ ব্যবধানে শেষ হলো দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা গড়েন ৪৪৪ রানের বড় স্কোর। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করেন টাইগার বোলাররা। ইনিংসের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ব্রায়ান বেনেটকে স্লিপে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। একই ওভারে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন নিক ওয়েলচ। দুই বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় জিম্বাবুয়ে।
এরপর নাঈম হাসান শিকার করেন শন উইলিয়ামসকে। দ্বিতীয় স্লিপে সাদমান ইসলামের দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ক্রেগ আরভিন ও বেন কারান। তবে ৩০তম ওভারে এক ওভারেই দুই উইকেট তুলে নেন মিরাজ—আরভিনকে বোল্ড করার পর একই ওভারে ফেরান মাদেভারেকে।
পরের ওভারেই তাফাদা সিগাকে ফেরান মিরাজ। এরপর মাসাকাদজা ও কারানকেও ফেরান তিনি, পূর্ণ করেন ইনিংসে পাঁচ উইকেট। একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফার—বাংলাদেশের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কৃতিত্ব গড়লেন মিরাজ।
তাইজুলও ফিরে এসে তুলে নেন এনগারাভার উইকেট। আর ম্যাচের শেষ উইকেটটি আসে রান আউট থেকে—মাসাকেসার বিদায়ের মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ ৫টি ও তাইজুল ৩টি উইকেট শিকার করেন। এক উইকেট নেন নাঈম হাসান।
ম্যাচের সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ—এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার অলরাউন্ড কীর্তিতেই সমতায় শেষ হলো এই টেস্ট সিরিজ।
এসএস/এসএন