ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্কনীতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ০.৩% সংকুচিত

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শুল্ক আরোপে আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে অর্থনীতি চাঙ্গা করার বদলে উল্টো সংকোচনের দিকে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি সংকুচিত হয়েছে ০ দশমিক ৩ শতাংশ। গতবছর একই সময়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যুরো অব ইকোনোমিক অ্যানালাইসিস’-এর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ শুল্কনীতির জেরে আমদানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। একইসঙ্গে বেড়েছে ভোক্তা ব্যয় ও মুদ্রাস্ফীতি। গত তিন বছরে এবারই প্রথম অর্থনীতি সংকুচিত হলো।

চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প কেবল শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েই থেমে থাকেননি। বরং মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের ওপর সরাসরি উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন। এপ্রিলের শুরুর দিকে তিনি প্রায় সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ এবং চীনের পণ্যে সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বসান।

শুল্ক ঘোষণার পরই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামে। পরে অধিকাংশ দেশের ওপর শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করলেও চীনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।

এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প দাবি করছেন, জিডিপি কমার জন্য দায়ী তার নয়, বরং তার পূর্বসূরি জো বাইডেন। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে এক পোস্টে তিনি বলেন, “এটা ট্রাম্পের নয়, বাইডেনের স্টক মার্কেট... আমাদের কিছুটা সময় দিতে হবে।”

তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুল্কের প্রকৃত প্রভাব বুঝতে সময় লাগবে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি একবারের জন্যই হতে পারে। আবারও জিডিপি সংকোচনের ঝুঁকিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

উত্তর আমেরিকার বিশ্লেষক পল আসোয়ার্থ বলেন, “প্রথম প্রান্তিকে আমদানি বাড়লেও এর হার এখন কমছে। তা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।”


এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাম্প কোন ধরনের শিরার সমস্যায় ভুগছেন? Jul 19, 2025
img
নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীর সেই বক্তব্যের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বক্তব্য Jul 19, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ Jul 19, 2025
img
নির্বাচনে ভুল না করতে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের Jul 19, 2025
‘দেশের সেবা করার সুযোগ পেলে জামায়াত সেবক হবে, মালিক না Jul 19, 2025
img
ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব, হারল দল Jul 19, 2025
img
চার ঘণ্টা ধরে লাইনচ্যুত পাহাড়িকা, চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচলে বিপর্যয় Jul 19, 2025
img
জামায়াত আমির সুস্থ আছেন, গুরুতর কিছু হয়নি : তাহের Jul 19, 2025
img
হাসপাতালে জামায়াত আমিরের পাশে বিএনপি মহাসচিব ও ড. মঈন খান Jul 19, 2025
img
এসএসসি পুনঃনিরীক্ষণ: শুধু ঢাকায় ৯২ হাজার শিক্ষার্থী, সর্বমোট আবেদন ২ লাখ ২৩ হাজার Jul 19, 2025
img
নতুন বিপ্লবের ডাক দিয়ে সাদিক কায়েম বক্তব্য Jul 19, 2025
img
ঘূর্ণিঝড় নয়, তবে লঘুচাপের সম্ভাবনা বঙ্গোপসাগরে Jul 19, 2025
img
উচ্চ কক্ষে যারা পিআর চায় না তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে: আখতার Jul 19, 2025
img
নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা হয়নি কিন্তু পিআরে'র দাবিতে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করছে : সালাহউদ্দিন আহমদ Jul 19, 2025
img
ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির পদত্যাগ Jul 19, 2025
img
সৃজিত-সুস্মিতার বন্ধুত্বে প্রেমের গন্ধ? সৃজিত বললেন, ‘রিল্যাক্স’ Jul 19, 2025
যেকোনো দলকে হারানোর মতো সামর্থ্য আছে; লিটন দাস Jul 19, 2025
img
করলে তো অনেক কিছু করা যায়, রিশাদকেও ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া যায় : লিটন Jul 19, 2025
বক্তব্য রাখছেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের Jul 19, 2025
বক্তব্য রাখছেন জামায়াতে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ান Jul 19, 2025