পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। যা কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে তালেবানদের সঙ্গে ভারতের আলোচনায় বসা এবং তালেবানের পক্ষ থেকে পহেলগাম হামলার নিন্দা, পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
গত ২৮ এপ্রিল ভারতের পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান বিষয়ক যুগ্ম সচিব এম আনন্দ প্রকাশ কাবুলে তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় আঞ্চলিক পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও পরিবহন ছাড়াও সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ও তার প্রভাব নিয়ে মতবিনিময় হয়। এই বৈঠকের ঠিক আগে তালেবান সরকার পেহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
তালেবান মুখপাত্র আব্দুল কাহার বলখি জানান, আফগানিস্তান এই হামলায় গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা দিয়েছেন। পাকিস্তান বলছে, ভারতের কাছ থেকে আসন্ন সামরিক পদক্ষেপের বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, নয়াদিল্লির কাবুলমুখী কূটনীতি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
পাকিস্তান যে তালেবানদের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে এত দিন ব্যবহার করেছে, আজ সেই তালেবান ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। অন্যদিকে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত সংঘাত, আফগান শরণার্থী বিতাড়ন ও পাকিস্তানি তালেবানদের নিয়ে বিরোধের কারণে। তালেবান সরকারের সঙ্গে ভারতের এই নতুন সমীকরণ পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আরো কোণঠাসা করে ফেলতে পারে।
এসএম/টিএ