ভারত থেকে দুই পাকিস্তানি তারকার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাচ্ছে

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে রক্তপাতের ঘটনায় এবার ছাপ পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভারত থেকে অধিকাংশ পাকিস্তানি সেলিব্রিটি তারকার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। তবে এখনো ফাওয়াদ খান ও ওয়াহাজ আলীর অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারত থেকে পাকিস্তানি জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির ও মাহিরা খানসহ বেশ কয়েকজনের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখা যাচ্ছে না। এ তালিকায় আলী জাফর, সানাম সাঈদ, বিলাল আব্বাস, ইমরান আব্বাস, ইকরা আজিজ, আয়েজা খান, সানাম সাঈদসহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি তারকাও রয়েছেন।
 
ভক্তরা এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ব্লক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলোর স্ক্রিনশট শেয়ার করছেন। এক ব্যবহারকারী হানিয়ার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি শেয়ার দিয়েছেন।

তিনি সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করে বলেন, পেহেলগামে রক্তপাতের ঘটনায় নির্দোষ কাউকে যেন শাস্তি দেওয়া না হয়।
শুধু ব্যক্তি অ্যাকাউন্টই নয়, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ এনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলও নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে আছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল।
 
গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয় ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে।

অপরদিকে এই পদক্ষেপকে পাকিস্তান-ভারত সম্পর্কের অবনতির আরেকটি লক্ষণ হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা। অনেকেই আবার একে ভারতের বৃহত্তর কূটনৈতিক প্রতিশোধের অংশ হিসেবেও দেখছেন। শুরু থেকেই পেহেলগামে হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে নয়াদিল্লি। যদিও তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।

সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত, কূটনৈতিক কর্মীদের ছাঁটাই, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলের পর এবার তারকাদের শায়েস্তা করতেও বদ্ধপরিকর ভারত সরকার।

যদিও এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ ভারতীয় কূটনীতিক ও সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার, শিখ তীর্থযাত্রীদের বাদ দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে পেহেলগাম হামলার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার।

এমআর/এসএন


Share this news on: