গাজীপুরের হায়দরাবাদে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইমাম রইজ উদ্দিনের কারা হেফাজতে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় পরিস্থিতি। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও একদল স্থানীয় নারী পৃথকভাবে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। অন্যদিকে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কারা হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে বৃহস্পতিবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) ঘটনাস্থলে ধর্ষণের বিচার দাবিতে কয়েকশ নারী ঝাড়ু মিছিল করেন। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান।
অন্যদিকে, গত বুধবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ঢাকামুখী মহাসড়কের টঙ্গীর চেরাগআলী থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে বক্তব্য দেন এবং ইমামের মৃত্যু নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
জিএমপির উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইমাম রইজ উদ্দিনকে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে স্থানীয়রা মারধর করে আটক করে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগকারী শিশুর বাবার করা মামলায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
২৮ এপ্রিল ভোরে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিরুদ্দিন অভিযোগ করেন, “একটি মহল ভুল তথ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আবেগকে ব্যবহার করে তদন্তে প্রভাব বিস্তার ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, “মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী পাঁচজন ভিকটিম আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্ত ইমামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আরও অভিযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এসএস