যশোরে এক ব্যক্তির শরীরে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার (২ মে) সকালে যশোরে পৌঁছেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন—ডাক্তার ফয়জুল ইসলাম, শাহ আফরোজ হাসনা আক্তার, নূরে আলম, ফাইয়াদ আহদেম কান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. সানাউল্লাহ ও গাড়িচালক। আইইডিসিআরের উচ্চপর্যায়ের এই দলটি সন্দেহভাজন ব্যক্তির রক্ত ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ করবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের রামনগর এলাকার একজন ব্যক্তির শরীরে বার্ড ফ্লুর কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। উপসর্গগুলো সন্দেহজনক হওয়ায় আইইডিসিআর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত টিম পাঠিয়েছে। প্রতিনিধিরা যশোরে কয়েকদিন অবস্থান করে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, মানবদেহে সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। মার্চ মাসের সংক্রমণ ছিল সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত। এরপর থেকে কোনো নতুন খামারে এমন কিছু পাওয়া যায়নি।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, আইইডিসিআরের ছয় সদস্যের দলটি ইতোমধ্যে যশোর এসে পৌঁছেছে। সদস্যরা সন্দেহভাজন ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এটি বার্ড ফ্লু কিনা তা নিশ্চিত করবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবু সুফিয়ান বলেন, এই ভাইরাসের প্রকোপ সীমিত এবং তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। পোলট্রি খামারগুলোকে সতর্ক করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং দেশে পর্যাপ্ত বিশেষায়িত ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ২ হাজার ৭৮টি মুরগি নিধন করে পুঁতে ফেলা হয়। যদিও প্রাণিসম্পদ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এটিকে নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘লো প্যাথোজেনিক’ ভাইরাস বলে জানিয়ে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেয়।
আরএ/এসএন