চূড়ান্ত হিসাবের অপেক্ষায় টম ক্রুজ

‘মিশন ইম্পসিবল: ডেড রিকনিং’ নিয়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুনে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন টম ক্রুজ। ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি পরিচালিত ২৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের সিনেমাটির প্রযোজকরা বক্সঅফিস থেকে ঘরে নিয়েছিলেন প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিরিজের সাত নম্বর সিনেমাটি মুক্তির প্রায় দুবছর পর স্টান্টবস আবারও পর্দা কাঁপাতে আসছেন সিরিজের আট নম্বর সিনেমাটি নিয়ে।

‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রিকনিং’ ১৪ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে। এরপর ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের এ সিনেমা আমেরিকায় মুক্তি পাবে ২৩ মে। ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচা হয়ে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে হাজির হবেন হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ। এটি হবে অভিনেতার তৃতীয় কান সফর।

এর আগে তিনি ১৯৯২ সালে প্রথমবার কানের লাল গালিচা মাড়িয়েছিলেন রন হাওয়ার্ডের ‘ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ সিনেমা নিয়ে। এর ৩০ বছর পর ২০২২ সালে টম কানে ফিরেছিলেন ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ নিয়ে। স্মরণীয় সেই সফরে তাকে দেওয়া হয়েছিল পাম ডি’অর।

‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজে টম ক্রুজের প্রায় তিন দশকের অ্যাকশন, স্টান্টের চূড়ান্ত সমাপ্তি হতে পারে ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রিকনিং’র মাধ্যমে। ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল এ সিনেমার শুটিং। কিন্তু মাঝে প্রায় দুবছর নির্মাণ কাজ বন্ধ থেকে ২০২৪ সালের মার্চে পুরোদমে শুরু হয় শুটিং। আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ইতালির বেশকিছু লোকেশনে কাজ করেন ক্রুজ বাহিনী। সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় শুরুতে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্ধারিত থাকলেও নানা জটিলতায় সেই বাজেট পৌঁছে যায় ৪০০ মিলিয়নে।

‘মিশন ইম্পসিবল: ডেড রিকনিং’ পার্ট ওয়ানের পরের সিরিজটি ডেড রিকনিংয়ের পার্ট টু হওয়ার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত বদল করে এর নাম রাখা হয় ‘দ্য ফাইনাল রিকনিং’। আর এ ‘ফাইনাল’ শব্দটির কারণেই টমভক্তদের ধারণা, এটিই হচ্ছে টমের সর্বশেষ মিশন। যদিও এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক ম্যাককোয়ারি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ‘ফাইনাল’ রিকনিং মানে সিরিজটি শেষ হয়ে যাবে-ব্যাপারটা এমন কিছু নয়।

সিনেমাটির মিউজিক নিয়ে কাজ করার কথা ছিল স্কটিশ মিউজিশিয়ান লর্ন বলফে’র। এর আগে ‘মিশন’ সিরিজের ফলআউট ও ডেড রিকনিং পার্ট ওয়ান পর্ব দুটির মিউজিক করেছিলেন তিনি। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয় এ দায়িত্বে থাকছেন না লর্ন। পরে এ কাজ দুর্দান্তভাবে সেরে দিয়েছেন লর্নের সঙ্গে কাজ করা দুই মিউজিশিয়ান ম্যাক্স আরুজ ও আলফ্রে গডফ্রে। আর সংগীত সম্পাদনা করেছেন সিসিলি টুর্নেসেক।

অ্যাকশন স্পাই থ্রিলার এ সিনেমার চিত্রনাট্য যৌথভাবে তৈরি করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি এবং এরিক জেন্ড্রেসেন। কিছুদিন আগে প্রকাশিত সিনেমাটির ট্রেলার দেখে এরই মধ্যে দারুণ উচ্ছ্বসিত টমভক্তরা-যেখানে তাকে বিমানের তলদেশের ডানা ধরে ঝুলতে দেখা গিয়েছিল। বরাবরের মতো টানটান উত্তেজনা নিয়ে দর্শকরা সিনেমাটি দেখবেন, এ ধারণা করাই যায়।

এফপি/এসএন 

Share this news on: