নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য : রেড ক্রিসেন্টে দুদকের অভিযান

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে টেন্ডারবাজি, বদলি, নিয়োগ ও পদায়ন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (৪ মে) মগবাজারে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় সংস্থাটি।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করছে বলে নিশ্চিত করেছে কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

অভিযোগের তীর সরাসরি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বিশেষ ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীসহ রেড ক্রিসেন্টের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দিকে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বর্তমান ট্রেজারার আমিনুল ইসলাম, ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য ডা. মাহমুদা আলম মিতু, পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে ৩২০ কোটি টাকার বদলি ও পদায়ন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অপসারণ করা হলেও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে তিনি এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন।

তুহিন ফারাবী রেড ক্রিসেন্টের ম্যানেজিং বোর্ডে প্রথমে তিন মাসের জন্য এবং পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ৫ মার্চ থেকে ছয় মাসের জন্য পুনর্নিয়োগ পান। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতেও একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট বদলি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, পদোন্নতি, টেন্ডার ও চাকরির নিয়োগে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ট্রেজারার আমিনুল ইসলাম, ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং পরিচালক ইমাম জাফর সিকদারের বিরুদ্ধেও একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের সহযোগী একটি মানবিক আন্তর্জাতিক সংস্থা। দেশের অসহায় মানুষের জন্য দাতা সংস্থাগুলোর অর্থ সহায়তায় মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। তবে সিন্ডিকেটের দুর্নীতির কারণে রেড ক্রিসেন্টের সুনাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে দাতা সংস্থাগুলোও সহায়তা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে।


এসএস/এসএন

Share this news on: