প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সাদ অনুসারীদের

সম্প্রতি তাবলীগ জামাতের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাওলানা আশরাফ আলী।

সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি হলে সাংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। মাওলানা আশরাফ আলী তাবলীগের মাওলানা সাদ আহমেদ কান্ধলভীর অনুসারীদের আমির।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারা দেশে তাবলীগের তাবলীগে মারামারি নয়। তৃতীয় একটি পক্ষ তাবলীগের সাথে মাদরাসার ছাত্রদের সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে। যা মূলধারা তাবলীগের পরিপস্থি।

তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে তাবলীগের তৃতীয় আমীরের ইন্তেকালের পর হযরত মাওলানা সাদ সাহেবসহ তিনজনকে বিশ্ব তাবলীগের কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে ওই তিনজনের মধ্যে ১৯৯৭ সালে একজন এবং ২০১৪ সালে আরেক জনের ইন্তেকাল হয়। এমতাবস্থায় ২০১৭ সালে তাবলীগের প্রচলিত প্রক্রিয়ায় হযরত মাওলানা সাদ সাহেবকে আমির নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে হযরত মাওলানা সাদ সাহেবের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, সাদ সাহেবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ‘তিনি নিজেকে আমির ঘোষণা করেছেন, তিনি নবী হযরত মূসা (আ:) এর শানে সম্মানহানিকর ফতোয়া দিয়েছেন যে যারা কুরআন পড়িয়ে অর্থ নেয় তাঁদের পূর্বে পতিতারা বেহেশতে যাবে।’ তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন সাদপস্থি ওই আমির।

উল্লেখ্য, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কন্দ্রে করে গত ১ ডিসেম্বর তাবলীগের মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জোবায়ের আহমেদ সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ইসমাইল মন্ডল (৭০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের মিলকিপাড়া গ্রামে। এছাড়াও আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান মিয়া কামলা উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক করেন এবং নির্বাচনের আগে টঙ্গী ময়দানে কেউ সমাবেশ করতে পারবেন না বলে ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ঘটনার পর আজ প্রথমবারের মত সাদ অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে।

 

টাইমস/কেআরএস/পিআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার করে ইসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান Sep 16, 2025
img
‘শত্রুতা’ ভুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করল তৃণমূল Sep 16, 2025
img
নগদ নির্ভরতা কমাতে আসছে অভিন্ন লেনদেন ব্যবস্থা Sep 16, 2025
img
৪১% মাশুল বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরে Sep 16, 2025
img
ন্যায়ভিত্তিক শাসনে না ফিরলে মবের মূলক শব্দটি বাস্তবে স্থায়ী হবে: জিল্লুর রহমান Sep 16, 2025
img
নির্বাচনে গ্রুপিং নিয়ে বুলবুলের মন্তব্য Sep 16, 2025
img
শুধু কথা দিয়ে ইসরায়েলি বর্বরতা থামবে না : পেজেশকিয়ান Sep 16, 2025
img
রশিদ খানরা এগিয়ে, তবুও রিশাদে ভরসা রাখছেন মুশতাক Sep 16, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 16, 2025
img
দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 16, 2025
img
বিসিবির কাছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোয়াবের দাবি Sep 16, 2025
img
ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩ Sep 16, 2025
img
ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাকসুর শিবির প্যানেলের দ্বীপ Sep 16, 2025
img
কাতারে আর হামলা করবে না নেতানিয়াহুর দেশ : ট্রাম্প Sep 16, 2025
img
লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি নেপালে Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান মালয়েশিয়ার Sep 16, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Sep 16, 2025
img
ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফুটবল-ক্রিকেটে জমজমাট রাত Sep 16, 2025
img
ইইউ বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Sep 16, 2025
img
হামাস যেখানেই থাকুক, হামলা করা হবে : নেতানিয়াহু Sep 16, 2025