দিনভর হাজারও টানাপোড়েনের অবসান। ইনস্টাগ্রামে ফিরলেন বাবিল খান। ইরফানপুত্র সোশাল মিডিয়ায় ফিরতেই তাঁর পাশে দাঁড়ালেন অনন্যা পাণ্ডে, অর্জুন কাপুর, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীরা। সকলে এই ইস্যুটিকে নিয়ে রং চড়িয়ে প্রচারের বিরোধিতা করেন।
যাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বাবিল, সেই অনন্যাই তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন। রাঘব জুয়েলও তাঁর পাশে দাঁড়ান। আবার অভিনেতা সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমি সাধারণত বিনোদুনিয়ায় কেউ কিছু বললে সেসব নিয়ে মাথা ঘামাই। কিন্তু আমার মনে হয় নেটদুনিয়ায় যা রটছে, তা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আসলে আমরা ঘৃণা পছন্দ করি। ভালোবাসা নয়। দয়া করে এই ইস্যুটিকে নিয়ে নাটক করবেন না। দয়া করে কোনও মতামত দেওয়ার আগে সব কিছু বিচার করে নেবেন।” ইরফানপুত্রের পাশে রয়েছেন অর্জুন কাপুরও।
প্রসঙ্গত, রবিবাসরীয় সকালে কাঁদতে কাঁদতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বাবিল। ভিডিওয় বাবিলকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি চাই আপনারা অনন্যা পাণ্ডে, অর্জুন কাপুর, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, আদর্শ গৌরব, অরিজিৎ সিং এবং আরও অনেকের কথা জানুন। বলিউড পুরো মদ্যপ। বলিউড একেবারে জালিস্য জাল একটা ইন্ডাস্ট্রি। আবার কেউ কেউ দেখি বলিউডকে উন্নত করতে চায় (হাসি)… আমি আপনাদের অনেক কিছু দেখাতে চাই… অনেক কিছু…” ভিডিওটি রেডিটে পোস্ট করেছিলেন বাবিল। পরে তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও উড়িয়ে দেন।
নানা জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে ইরফান জায়া সুতপা শিকদার তাঁদের পরিবারের তরফে সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি প্রকাশ করেন। জানান, ‘বাবিলের ভিডিওটিকে ভুল বোঝা হচ্ছে। ওই ক্লিপে বাবিল কয়েকজন সতীর্থের প্রশংসাই করেছে, যাদের ভারতীয় ছবিতে অর্থপূর্ণ অবদান রয়েছে বলেই ধারণা ওর। আমরা সংবাদমাধ্যম ও জনতার কাছে আর্জি জানাই, ওর সব কথা শুনে তবেই যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, খণ্ডিত ভিডিও ক্লিপ দেখে নয়।’ সেই সঙ্গেই বাবিলকে যে ভালোবাসা দেওয়া হয়েছে সেজন্য ধন্যবাদও জানান। পাশাপাশি, বাবিলের যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা রয়েছে সেকথারও উল্লেখ করা হয়েছে। বাবিলকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বাবিল সুস্থ রয়েছেন এবং শিগগিরি তিনি আরও সুস্থ হয়ে উঠবেন। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যে ফের ইনস্টাগ্রামে ফেরেন বাবিল। সোশাল মিডিয়ায় ফেরামাত্রই একে একে পাশে দাঁড়ালেন অনেকেই।
এসএন