কঙ্গনার ফিট থাকার নেপথ্যে যে পানীয়

শীত থেকে গরম, আবার গরম থেকে শীত— এই মৌসুম বদলের সময়ে সাধারণত কমবেশি সবার সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। ভাইরাস জ্বরও হয় ঘরে ঘরে। তার ওপর কখনো পাহাড়ে, আবার কখনো সমুদ্রের ধারে শুটিং করতে হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। মাঝেমধ্যে চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে বৃষ্টিতে ভিজতেও হয় তাদের। এত কিছুর পরও ওষুধ না খেয়েই সুস্থ থাকেন বলিউডের জনপ্রিয় ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।

তবে এবার অভিনেত্রীর কোনো তোলপাড় বক্তব্যে নিয়ে কথা বলছি না। এবার কথা বলছি তার জীবনযাপনে কীভাবে সুস্থ থাকে কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেন, যখনই মনে হয় যে গলা বসে যাচ্ছে, অথবা ঠান্ডা লেগে যাবে, তখনই সে বিশেষ ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। সেটি একটি বিশেষ পানীয়, যা ভেষজ উপকরণেই তৈরি করেন অভিনেত্রী। এমন উপকরণ তিনি মেশান, যা প্রায় সব বাড়ির হেঁশেলেই পাওয়া যায়। সেই পানীয় প্রতিদিনেই পান করেন কঙ্গনা। এতে তার শরীর যেমন ‘ডিটক্স’ হয়, তেমনই রোগবালাই দূরে থাকে। আর প্রতিদিনের সেই পানীয় খেয়ে গলা বসে যাওয়ার সমস্যা থেকেই রেহাই পেয়েছেন তিনি। সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা ধারেকাছেই ঘেঁষতে দেন না অভিনেত্রী।

মৌসুম বদলের সময় ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ থেকে তিনি এখন শতহস্ত দূরে। এমনই দাবি করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সম্প্রতি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়— কীভাবে এত ফিট ও তরতাজা থাকেন অভিনেত্রী। একটি বিশেষ ঘরোয়া টোটকাই তার সুস্থতার চাবিকাঠি বলে জানান কঙ্গনা রানাউত।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কী খেয়ে এত ফিট থাকেন অভিনেত্রী কঙ্গনা—
হলুদ, আদা, আমলকী ও গোটা গোলমরিচ দিয়ে তৈরি পানীয় খেয়ে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে বেঁচেছেন অভিনেত্রী। একটা পাত্রে পানি গরম করে তাতে কাঁচাহলুদের টুকরো, আদা কুচি, আমলকীর টুকরো ও কয়েকটি গোটা গোলমরিচ দিয়ে ফোটাতে হবে। মিনিট দশেক ফোটার পর জলের রং বদলাতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেখে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। এবার সেই পানীয় ঢেকে রাখুন আরও কিছু সময়, যেন আদা ও আমলকীর রস ভালো করে পানিতে মিশে যায়। তারপর ছেঁকে সেই পানীয় খেতে হবে।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ শরীরে প্রদাহ কমায়, জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। আদায় আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা সর্দি-কাশি ও পেটের সমস্যা কমাতে পারে। আমলকীর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর গোলমরিচের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে, যা জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। ঠান্ডা লাগলে গোটা গোলমরিচ ফুটিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে ধ্বংস হতে পারে ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি! May 05, 2025
img
ট্রাম্পের শুল্ক নীতির হুমকিতে বাংলাদেশি সিনেমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার May 05, 2025
img
সুনামগঞ্জে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব ৫ পরিবার May 05, 2025
img
খুলনায় বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি May 05, 2025
img
অধিনায়ক হিসেবে চার ম্যাচের তিনটিতে জয়,ব্যাট হাতে ফ্লপ লিটন May 05, 2025
img
১০ হাজার ইয়াবাসহ রাজধানীতে মাদক কারবারি গ্রেফতার May 05, 2025
img
স্ত্রীসহ পরমাণু কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা May 05, 2025
img
ঢাকায় ২৫ স্থানে বসছে বাতাসের গুণগতমান যাচাইয়ের যন্ত্র May 05, 2025
img
বোর্ড পরীক্ষার খাতার মূল্যায়ন ও সংরক্ষণ নিয়ে কঠোর বার্তা May 05, 2025
img
স্বজনকে ‘উড়ন্ত চুমু’ দিলেন হাজী সেলিম May 05, 2025