রোমানিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থি জর্জ সিমিওনের জয়

রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কট্টর ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী প্রার্থী জর্জ সিমিওন ৪০ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন।

এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানে বিরোধিতা করা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে সংশয় পোষণকারী অ্যালায়েন্স ফর দ্য ইউনিয়ন অফ রোমানিয়ানস (এইউআর) দলের প্রার্থী সিমিওন এখন ১৮ মে’র দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছেন।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী বুখারেস্টের উদারপন্থি মেয়র নিকুশোর দান মাত্র ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। তারপরেই ২০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ক্রিন আন্তোনেস্কু।

নির্বাচনের পর গতকাল রবিবার (৪ মে) সিমিওন ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এটি ছিল সাহস, আস্থা ও সংহতির প্রতিফলন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন কোনো একজন প্রার্থীর নয়, বরং সেই সব রোমানিয়ানদের, যারা বছরের পর বছর প্রতারিত, অবহেলিত ও অপমানিত হয়ে এসেও তাদের পরিচয় ও অধিকার রক্ষা করতে চায়।’

জয়ের পর, ন্যাটো-কে সমর্থন করার পাশাপাশি রোমানিয়ায় মার্কিন সেনা ও ঘাঁটি রাখার পক্ষে বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরাগী সিমিওন।

গত নির্বাচনে জর্জেস্কুকে ভোট দিয়েছিলেন এমন অনেকেই এবার সিমিওনকে সমর্থন দিয়েছেন।

এছাড়াও ‘রোমানিয়া ফার্স্ট’ স্লোগান দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর পোন্টার সমর্থকরাও তার দিকে ঝুঁকেছেন।

২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হয়েছিলেন কালিন জর্জেস্কু। কিন্তু জালিয়াতি ও রাশিয়ান হস্তক্ষেপের অভিযোগে সেই ফলাফল বাতিল করা হয়।

নির্বাচন বাতিল করা ও জর্জেস্কুকে নতুন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায়, ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে রোমানিয়া।

রোমানিয়ায় ন্যাটোর তিনটি বড় বিমানঘাঁটি ও একটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কেন্দ্র থাকায় ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ৭০ শতাংশই রোমানিয়ার জলসীমা হয়ে ব্ল্যাক সি পেরিয়ে যায়।

এ ছাড়া রোমানিয়ার নৌ ও বিমান বাহিনী মাইন অপসারণ এবং ইউক্রেনীয় পাইলটদের এফ-১৬ উড়ানো শিখিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে।

তবে সিমিওন প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনকে দেওয়া এসব সহায়তা বন্ধ হবে বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ