টিকটকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, সময়সীমা বাড়াতে পারেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের নিষিদ্ধ হওয়া না হওয়া এখন নির্ভর করছে একটি চুক্তির ওপর। ১৯ জুনের মধ্যে চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটির মার্কিন অংশ বিক্রি না হলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে জনপ্রিয় এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি আবারও সময়সীমা বাড়াতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মার্কিন কংগ্রেস ২০২৪ সালের শুরুতে একটি আইন পাস করে, যেখানে বলা হয়—চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিক্রি করতে হবে। সময়সীমা না মানলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে।

তবে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ান এবং পরে তা ১৯ জুন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেন। এবার আবারও সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

সম্প্রতি এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই চুক্তিটা সম্পন্ন হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিকটক একটি আকর্ষণীয় অ্যাপ, তরুণদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা চাই এটি নিরাপদ থাকুক।’

তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান শুল্কবিষয়ক উত্তেজনা নিয়ে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করার পর বেইজিং টিকটক চুক্তিতে সম্মতি দিতে গড়িমসি করছে। এতে করে পুরো বিষয়টি আটকে গেছে।

টিকটকের মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়ে একটি মার্কিন মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের পরিকল্পনা চললেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। ডেমোক্রেটিক সিনেটররা বলছেন, ট্রাম্পের এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনও আইনি অধিকার নেই এবং পূর্ববর্তী চুক্তির খসড়াও আইনগত শর্ত পূরণ করেনি।

তবে বাইটড্যান্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আলোচনা এখনো চলছে এবং সমঝোতা সম্ভব, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্কবিষয়ক বিরোধ নিরসন হয়।

টিকটকের ভবিষ্যৎ এখনো ঝুলে আছে একটি চুক্তির দড়িতে। ট্রাম্প সময়সীমা বাড়ালেও রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের কারণে চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এ অবস্থায় মার্কিন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় অ্যাপটির ভবিষ্যৎ কি হবে, তা জানতে তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত।

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে আলালের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিলেন আবদুল হালিম Nov 01, 2025
img
যোগাযোগ সুসংহত করতে বিএনপির নতুন কমিটি Nov 01, 2025
img
বিসিবিতে ছায়া কমিটির কোনো সুযোগ দেখছেন না ফাহিম Nov 01, 2025
img
ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ নিয়ে আন্দালিভ রহমান পার্থের বার্তা Nov 01, 2025
img
যোগাযোগ সুসংহত করতে নতুন কমিটি গঠন বিএনপির Nov 01, 2025
img
পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন বিভাগের অধীনে নিন : আইজিপি Nov 01, 2025
img
জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে : গণফোরাম Nov 01, 2025
img
আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, চরম ভোগান্তিতে মানুষ Nov 01, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় ৩ বাহিনীর প্রধান Nov 01, 2025
img
ভর্তুকি দিয়ে হলেও বিদ্যুতের দাম স্বাভাবিক রাখা হবে: ফরিদা আখতার Nov 01, 2025
img
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা আন্দোলন ঘিরে আটক ২২ নেতাকর্মী Nov 01, 2025
img
গান বা ছবির প্রচারের জন্য কেবিসির সেটে যাইনি : দিলজিৎ Nov 01, 2025
img
বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার, ক্ষোভ তৃণমূলের Nov 01, 2025
img
সিলেটে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার Nov 01, 2025
img
বদনাম কুড়ানো ছবিটিই হিট : চিরঞ্জিত Nov 01, 2025
img
ডিভোর্সে ৫ কোটি খোরপোশ নিয়ে মুখ খুললেন মাহি Nov 01, 2025
img
নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা Nov 01, 2025
img
বিএনপি বলে আমরা জামায়াত, আবার জামায়াত বলে বিএনপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ Nov 01, 2025
img
নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে : দুলু Nov 01, 2025
img
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩ Nov 01, 2025