আওয়ামী দোসররা এখনো ব্যাঙের মতো মাথা তুলে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, প্রকৌশলী শাহরিয়ান ইসলাম তুহিনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, তুহিনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে, একটি ইনকাম ট্যাক্স এবং অপরটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। তবে এসব মামলার পেছনে কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই এবং এগুলো ছিল সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক।

রিজভীর দাবি, এই মামলাগুলো মূলত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনের ফলস্বরূপ গঠিত অবৈধ সরকারের বৈধতা প্রমাণের জন্যই সাজানো হয়েছে। বিএনপি ও বিএনপিপন্থী নেতাদের কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় শাহরিয়ান ইসলাম তুহিনকেও জড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “অনেকের ক্ষেত্রেই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, অনেকে কারাগারে যাননি কিংবা গ্রেফতারও হননি। অথচ এখন ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আটকে আছে। আইন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ‘নো অবজেকশন’ দিয়েছে। কেবল কিছু দপ্তর আপত্তি জানিয়েছে এবং এখন এটি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আটকে আছে।”

রিজভীর বক্তব্যে উঠে এসেছে, “তুহিন শিক্ষিত, পেশাদার এবং একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। তার ‘অপরাধ’ হলো, তিনি দেশের একটি রাজনৈতিক পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। শুধুমাত্র এই কারণেই কি তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে?”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একই ধরনের মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা যদি রেহাই পেতে পারেন, তাহলে তুহিন কেন পাবেন না? আজ সবাই এটাই বলছে, যেখানে আইন মন্ত্রণালয় কোনো আপত্তি জানায়নি, সেখানে এটি আটকে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

রিজভী আরও বলেন, প্রশাসনের ভেতরে এখনো আওয়ামী দোসররা সক্রিয়, যারা গিরগিটির মতো রং বদলে ক্ষমতার সাথে খাপ খাইয়ে চলেছে। এরা কখনো আওয়ামী, আবার কখনো অন্য রাজনৈতিক রূপে আবির্ভূত হয়। এদের লক্ষ্য হলো, গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ার পথে বাধা সৃষ্টি করা। তিনি অভিযোগ করেন, এদের ষড়যন্ত্রেই ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের মতো মানুষরা ভুগছেন।

আরআর/এসএন

Share this news on: